হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণা মামলা
চীনা টেলিকম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মেও ওয়াংঝুর বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে হুয়াওয়ে।
গত ১ ডিসেম্বর কানাডায় গ্রেফতার হন হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মেং ওয়াংঝু। যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় প্রতিষ্ঠানটির এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাংকিং প্রতারণা, বিচারে বাধা ও প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলছে, দীর্ঘদিন ধরে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক টানাপড়েনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই মামলা।
আরও পড়ুন : হঠাৎ ভারী বর্ষণে বন্যার কবলে সৌদি
এক বিবৃতিতে হুয়াওয়ে বলছে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো জেনে তারা হতাশ হয়েছে। কোনো ধরনের আইনের লঙ্ঘন ঘটেনি বলে জানিয়েছে হুয়াওয়ে। এমনকি মেংয়ের কোনো ভুল কর্মকাণ্ডের ব্যাপারেও জানে না চীনা এই প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগে বলা হয়েছে, দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ডিভাইস ইউএসএ ও স্কাইকম টেকের মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে গোপন বাণিজ্য করেছেন মেং ওয়াংঝু। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এবং একটি বৈশ্বিক ব্যাংককে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।
গত ১ ডিসেম্বর ভ্যানকুভারে মেং ওয়াংঝুকে গ্রেফতার করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ওয়াশিংটনের কাছে হস্তান্তর করতে কানাডার প্রতি অাহ্বান জানায়। জামিনে মুক্তি পেলেও বর্তমানে কানাডায় বিশেষ নজরদারিতে রয়েছেন তিনি।
মেং গ্রেফতার হওয়ার পর হুয়াওয়ে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নির্বাহী এই কর্মকর্তা কোনো ধরনের ভুল কাজ করেছেন কি-না সেব্যাপারে তারা অবগত নন এবং সব ধরনের আইন মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে একেবারে নগন্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। মেংয়ের কোনো ভুল কাজের ব্যাপারে কোম্পানির ধারণা নেই।’
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পারমাণবিক চুক্তির পর তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হলেও সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের বিরুদ্ধে আবারো কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে। ইরানের তেল রফতানি, শিপিং ও ব্যাংক লেনদেনের ওপরও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
এসআইএস/এমকেএইচ