চাকরি হারালেন ট্রাম্পের ১২ কর্মচারী
প্রায় এক দশকেরও বেশি সময়ে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওয়েসচেস্টারের গলফ ক্লাবের দেখভাল করতেন তারা। তাদের মধ্যে অনেকে বছরের সেরা কর্মচারীর পুরস্কারও জিতেছেন। কিন্তৃ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কাজ হারালেন ট্রাম্পের সেই গলফ ক্লাবের ১২ জন অভিবাসী কর্মচারী।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিউইয়র্কে ট্রাম্পের ওই গলফ ক্লাবে অবধৈভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তারা। কেননা তারা দেশটির বৈধ অভিবাসী নন। আর তাদের ব্যক্তিগত সব তথ্যই জানতেন ওই গলফ ক্লাবের ম্যানেজার। তা সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
চাকরি হারানো এসব কর্মচারীর অনেকেই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন ওয়েস্টচেস্টারের ট্রাম্প ন্যাশনাল গলফ ক্লাবে। অ্যানিবাল রোমারো নামের তদন্ত দলের কৌঁসুলি বলেন, ‘এটা খুবই খারাপ একটা ঘটনা। এই মানুষগুলো গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সেখানে কাজ করছেন। এমনকি তাদের মধ্যে একজনের কাছে ট্রাম্প পুত্র এরিক ট্রাম্পের ঘরের চাবিও ছিল।’
গত মাসেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিউ জার্সির অন্য একটি ক্লাবের কর্মচারীরা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন যে, বেআইনি ভাবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ক্লাবের ম্যানেজার সব কিছু জানা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেননি। আর ঠিক তার পরেই ট্রাম্পের এই গলফ ক্লাবের কর্মচারীদের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হলে চাকরি হারালেন তারা।
এ বিষয়ে ট্রাম্প কিছু না বললেও মুখ খুলেছেন তার ছেলে এরিক ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব গভীরভাবে খতিয়ে দেখছি যে, ভুয় নথিপত্র জমা করে এখানে কেউ কাজ করছেন কিনা। সে রকম কেউ ধরা পড়লেই তার চাকরি চলে যাবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা সংক্রান্ত কাজকর্ম এখন দেখভাল করেন তার দুই পুত্র এরিক ট্রাম্প ও ডোনাল্ড জুনিয়র। গোটা বিশ্বে দ্য ট্রাম্প অরগানাইজেশনের মোট ১৭টি গলফ ক্লাব রয়েছে।
এসএ/পিআর