প্রক্সি ভোটিং : ব্রিটিশ সংসদের বিধি পাল্টাচ্ছে টিউলিপের কারণে
এখন থেকে প্রক্সিং ভোটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন ব্রিটেনের এমপিরা। সরকারের তরফ থেকে নতুন একটি পরিকল্পনা ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র। এর মাধ্যমে কোন এমপি মাতৃত্বকালীন বা পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকলে তার হয়ে অন্য একজন এমপি ভোটে অংশ নিতে পারবেন।
গর্ভবতী এবং নতুন বাবা-মা হয়েছেন এমন এমপিদের জন্য প্রক্সি ভোটিং নিয়ে অনেকদিন ধরেই পার্লামেন্টে আলোচনা চলছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী এ বিষয়টি নিয়ে সম্মতি থাকলেও ব্রিটেনে এটা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
হাউস অব কমন্সের প্রধান এবং ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান্ড্রিয়া লিডসন বলেন, আগামী সোমবার এ বিষয়ে যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে তাতে যদি এর পক্ষে ভোট পড়ে তবে এক বছরব্যাপী পরীক্ষামূলক পক্রিয়া চালু থাকবে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের ব্রেক্সিট চুক্তিতে ভোটে অংশ নিতে বিরোধী লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক নির্ধারিত সময়ের পর তার সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকেই প্রক্সিং ভোটিং নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পার্লামেন্টে প্রক্সি ভোটিংয়ের অনুমোদন না থাকায় ভোট দিতে হুইল চেয়ারে করে পার্লামেন্টে উপস্থিত থাকতে হয়েছিল টিউলিপকে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এমন কোন পদ্ধতিতে নেই যার মাধ্যমে কোন এমপি তার পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য কাউকে মনোনীত করতে পারবেন। তারা সদ্য বাবা-মা হলেও বা কোন নারী গর্ভবতী হলে বা সন্তান জন্মদানের সময় হলেও তারা তাদের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য কাউকে নির্বাচন করতে পারেন না।
অবশ্য সেখানে বিকল্প একটি পদ্ধতি আছে যাকে ‘পেয়ারিং’ বলা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো একটি দলের একজন এমপি ভোট দিতে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তিনি প্রতিপক্ষ দলের একজনকে ভোট থেকে বিরত থাকতে রাজি করানোর সুযোগ নিতে পারেন। অর্থাৎ দু'দল থেকে দুজন ভোটে অংশ নেবেন না।
তবে এই পদ্ধতিকে বিশ্বাস করেন না বলেই সন্তান জন্মদানের সময় ঘনিয়ে আসার মুহূর্তেও পার্লামেন্টে ভোট দিতে গিয়েছিলেন টিউলিপ। কারণ এর আগে ট্রেড বিলের বিষয়ে একটি ভোটে এই নিয়ম ভঙ্গে অভিযুক্ত হয়েছিলেন টোরি চেয়ারম্যান ব্র্যান্ডন লিউয়িস। লিব ডেম জো সুইনসনের সঙ্গে পেয়ারিং করে তার ভোট না দেয়ার কথা ছিল। সে সময় মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটাচ্ছিলেন লিব ডেম। তবে এই ঘটনার জন্য অবশ্য পরে ক্ষমা চেয়েছেন ব্র্যান্ডন লিউয়িস।
তবে বেশ কিছু সূত্র বলছে, প্রক্সি ভোটিংয়ে অনুমোদন না দেয়ার চেষ্টা করছেন ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির চিফ হুইপ জুলিয়ান হুইপ।
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে প্রক্সির কোন সুযোগ না থাকায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকে ব্রিটেনের এই ঘটনাকে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক বা প্রাচীন পদ্ধতি বলে উল্লেখ করেছেন। এরপরেই এ নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
টিটিএন/এমকেএইচ