ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

জার্মানিতে এত যানজট!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

যানজট যেকোনো দেশের জন্যই বড় একটা সমস্যা। দীর্ঘ যানজটে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। কারণ স্থির গাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে কার ভালো লাগে? যারা ঢাকা শহরে থাকেন তারা হাড়ে হাড়ে টের পান যানজটের জের কী!

তবে জার্মানির যানজটের পরিসংখ্যান তুলে ধরলে পিলে চমকে যাবে। জার্মানির অটোমোবাইল ক্লাব এডিএসি বলছে, গত বছর সপ্তাহের বুধবার দিনটি ছিল জার্মানবাসীর কাছে সবচেয়ে বেশি যানজটের দিন।

২০১৭ সালে ওই দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। এডিএসি বলছে, গতবছর প্রতি বুধবার গড়ে ৫ হাজার ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লেগেছে। আর বৃহস্পতিবার যানজটের দৈর্ঘ্য ছিল গড়ে পাঁচ হাজার ৮০০ কিলোমিটার।

২০১৮ সালে জার্মানির রাস্তায় ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। ২০১৭ সালের তুলনায় তা তিন শতাংশ বেশি। এডিএসি বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

এডিএসির দেয়া তথ্য মতে, যানজটের জন্য যাত্রীদের অতিরিক্ত ৪ লাখ ৫৯ হাজার ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়েছে।

জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়াতে সবচেয়ে বেশি যানজট লেগেছিল। সংখ্যার হিসাবে জার্মানির মোট যানজটের প্রায় ৩৫ শতাংশই হয়েছিল এই রাজ্যে। এর পরে আছে বাভারিয়া (১৭ শতাংশ) ও বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ (১১ শতাংশ)।

উল্লেখ্য, বিএমডব্লিউর সদর দফতর বাভারিয়ার মিউনিখ এবং মার্সিডিজ বেনৎসের সদর দফতর বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গের স্টুটগার্টে অবস্থিত।

ট্রাফিক বিশ্লেষণ করাই ইন্ট্রিক্সের কাজ। এবার সে কাজ করতে গিয়ে তারা দেখেছে, অফিস শুরু আর শেষের সময়টায় ট্রাফিক পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ থাকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে। পরিসংখ্যান বলছে, সেখানকার গাড়িচালকদের প্রতি বছর পিক আওয়ারে অন্তত ১০৪ ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়।

এডিএসি বলছে, যানজট সবচেয়ে কম লেগেছে শনি ও রোববার। কারণ, এই দুদিন জার্মানিতে ছুটির দিন এবং সে কারণে অফিস, আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে।

জার্মানিতে ২০১৮ সালের সবচেয়ে বেশি যানজটময় দিনটি ছিল ২৮ জুন, বৃহস্পতিবার। সেদিন গ্রীষ্মের ছুটির ট্রাফিক আর কর্মদিবসের ট্রাফিক সব একসঙ্গে মিলে ওই পরিস্থিতি তৈরি হয়অ

ব্রেমেন, লোয়ার সাক্সোনি আর সাক্সোনি-আনহাল্ট রাজ্য গ্রীষ্মের ছুটি শুরুর সময় প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানিয়েছে এডিএসি।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

এসআর/এমএস

আরও পড়ুন