জীবন দিয়ে মিটল ঘুড়ি ওড়ানোর শখ
ঘুড়ি ওড়াতে বেশ ভালো লাগত তিন বছরের শিশুটির। ঘুড়ির টানে ছাদে উঠিছিল সে। তারপর বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তেই হার মানল শাহিন মণ্ডল নামের ছোট্ট শিশুটি।
শুক্রবার শাহিনের বড় ভাই রোহিত ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। ভাইকে দেখে শাহিনও হাতে লাটাই, সুতো নিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু ছোট্ট ভাইয়ের আবদারে কান না দিয়ে তাকে ফেলেই রোহিত উঠে গিয়েছিল ছাদে।
সবার অলক্ষ্যে ছোট শাহিন এক পা এক পা করে পৌঁছে গিয়েছিল দোতলার ছাদে। তারপর টাল সামলাতে না পেরে ছাদের ধার থেকে একেবারে নিচে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টার লড়াইয়ের পর না ফেরার দেশে চলে যায় শাহিন।
পাঞ্জাবের বনগাঁর পাইকপাড়ার বাসিন্দা ছিল শাহিন। বাবা সারজুল মণ্ডল পেশায় ট্রাক চালক। দুই ছেলে, স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তার। এর মধ্যেই এমন একটা বিপর্যয় গ্রাস করল পুরো পরিবারকে। তিন বছরের ছেলের মৃত্যুর শোকে পাথর মা, বাবা, পরিবারের সবাই।
ভাইয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে পারেনি বলেই এই পরিস্থিতি, এমনটা ভেবে কেঁদে আকুল হচ্ছে এগারো বছরের রোহিত। শাহিনের এমন অকালে চলে যাওয়া প্রতিবেশীদের মনেও বড় ধাক্কা দিয়েছে। অত ছোট ছেলেটি সবার প্রিয় ছিল। শাহিনকে সুস্থ করে তুলতে প্রতিবেশীরা যে যার সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সবার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হলো তাকে।
টিটিএন/পিআর