পদ ৬৩ হাজার, চাকরি চান ১ কোটি ৯০ লাখ ব্যক্তি
একটা কথা প্রচলিত আছে যে, সরকারি চাকরি মানেই সোনার হরিণ। বেসরকারি চাকরিতে রয়েছে অনিশ্চয়তা, যেটা সরকারি চাকরিতে নেই। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে সুযোগ-সুবিধাও বেশি। তাই সরকারি চাকরি নামের এই সোনার হরিণের দেখা পাওয়ার জন্য বেকার ব্যক্তিরা কত কষ্টই না করে থাকে। টাইম মেনে রাত জেগে লেখাপড়া করাসহ আরও কত কি। তাই বলে একটি পদের দখল নিতে ৩০০ জনের কাড়াকাড়ি!
অবিশ্বাস্য হলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। সম্প্রতি দেশটির রেল বিভাগ খালাসি, রেলের গেটম্যান, গানম্যান, সহকারি সুইচম্যানসহ বেশ কিছু পদে ৬৩ হাজার ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আর এ পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন মোট ১ কোটি ৯০ লাখ ব্যক্তি। অর্থাৎ প্রতি পদের বিপরীতে লড়বেন ৩০১ জন। তাদের মধ্যেই একজন হলেন রাজস্থানের অনিল গুজ্জর। পরিবারের প্রথম সদস্য তিনি। গত নভেম্বর মাসে দিল্লিতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে তার মতোই হাজার হাজার ছেলেমেয়েদের দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন মরুরাজ্যের ছোট গ্রামের এই ছেলেটি। সেইসব ছেলেমেয়েদের প্রায় প্রত্যেকেই কলেজপড়ুয়া বা গ্র্যাজুয়েট। কেউ কেউ সম্পন্ন করে ফেলেছেন স্নাতকোত্তরের পড়াশোনাও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা জানানো হয়েছে, ভারতে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৪.১ শতাংশ থেকে গিয়ে ঠেকেছে ৮.৪ শতাংশে। ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছর থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে থাকা ভারতীয় জনগণের সংখ্যা হবে মোট জনসংখ্যার ত্রিশ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ, প্রায় ৪৮ কোটি। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা তাদের পূর্বপুরুষদের থেকে অনেকটা বেশি হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু, দেশের এই তীব্র বেকারত্বের সময়ে তারা কি সকলেই একটি চাকরি পাবে? নিজেদের জন্য একটি নিশ্চিন্ত মাথা গোঁজার জায়গার ব্যবস্থা করতে পারবে? প্রশ্ন অনেক। কেবল উত্তর নেই। রাত কত হইল তার উত্তর দিতে পারে না কেউই।
এসআর/এমকেএইচ