ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

খাশোগির হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৯

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১১ খুনির মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল। বৃহস্পতিবার রাজধানী রিয়াদে একটি উচ্চ পর্যায়ের আদালতে এ হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত শুনানিতে এ দাবি জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেলের দেয়া এক বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এদিন আদালতে খাশোগি হত্যায় অভিযুক্ত ১১ ব্যক্তি তাদের আইনজীবীকে সঙ্গে করে আদালতে হাজির হন।

সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ হত্যা সংক্রান্ত প্রমাণাদি আমাদেরকে দেয়ার জন্য তুরস্ককে দুইবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধে সাড়া দেয় নি। তবে খাশোগি হত্যায় জড়িত ১১ ব্যক্তির নামও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি সৌদি আরব।

গত বছরের দুই অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগিকে হত্যা করে সৌদির পাঠানো একটি কিলিং স্কোয়াড। ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাশোগিকে হত্যার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও চাপের মুখে সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগিকে তারাই হত্যা করেছে।

তুরস্কের তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি অনুযায়ী, একসময় সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি থেকে রাজতন্ত্রের সমালোচক হয়ে ওঠা খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। আর এ হত্যাকাণ্ড পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের একটি কিলিং স্কোয়াড পাঠিয়েছিল সৌদি আরব।

তাছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রতিবেদনে জানানো হয়, খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ এসিডের মাধ্যমে পুড়িয়ে অদৃশ্য করা হয়। ঘটনার পর তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ ইস্তাম্বুলের ওই সৌদি কনস্যুলেট ও আরও বেশ কিছু স্থানে তল্লাশি অভিযান চালায়।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদিতে আটক ১১ ব্যক্তিতে তুরস্কে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য হস্তান্তরের দাবি জানায় জানায় আঙ্কারা। কিন্তু সৌদি আরব তুরস্কের এ দাবি প্রত্যাখান কের বলে, তারা তাদের কোনো নাগরিককে অন্য দেশের কাছে হস্তান্তর করে না।

এদিকে এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিআইএ তুরস্কে যায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তের উদ্দেশে। তদন্ত শেষে তারা জানায়, এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ এসছে সৌদি রাজপরিবারের উপরমহল থেকে। তাদের দাবি রাজতন্ত্রের ওই ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি হলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। কিন্তু গত নভেম্বরে সৌদি অ্যাটির্নি জেনারেল বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজ সালমানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এসএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন