বিমান দুর্ঘটনায় পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু
২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে মোট ১৬টি বিমান দুর্ঘটনায় ৫৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ এবং ২০১৭ সালের চেয়ে ৯০০ শতাংশেরও বেশি।
নেদারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা দ্য এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের (এএসএন) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এএসএন এর হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মোট ৫৫৫ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৭ সালে বিমান দুর্ঘটনায় ৫৯ মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালকে এএসএন বিমান দুর্ঘটনা ও হতাহত বিবেচনায় সবচেয়ে নিরাপদ বছর হিসেবে অভিহিত করেছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে অনেকগুলো বিমান দুর্ঘটনা ঘটলেও ও অতীতের যেকোনো বছরের তুলনায় যাত্রীদের জন্য আকাশপথে বছরটি ছিল ৯ম নিরাপদ বছর। গত দশ বছরের তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সেসময় প্রতি বছর গড়ে ৩৯টি করে দুর্ঘটনার শিকার হতেন যাত্রীরা। যেমন, ২০০০ সালে ৬৪টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
গত বছরের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলো হলো- অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়ায় লায়ন এয়ার বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ জনের মৃত্যু ও জুলাইয়ে কিউবায় বিমান দুর্ঘটনায় ১১২ জন যাত্রীর প্রাণহানি, ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান মস্কো থেকে ছেড়ে যাওয়ার ছয় মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে ৭১ জনের মৃত্যু হয়। এ বছরের ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হন।
২০১৮ সালের ১৬টি বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে ১০টি দুর্ঘটনা গত পাঁচ বছরের ভয়াবহতম ২৫টি দুর্ঘটনার তালিকায় রয়েছে বলে জানায় এএসএন।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বিমান দুর্ঘটনা মূলত কারিগরি ত্রুটি, পাইলটদের ভুল ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে হলেও অধিকাংশ দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।
২০১৮ সালে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ফ্লাইটে ৪.৫ বিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করেছে সংস্থাগুলো। ২০১৯ সালে বিমান পরিবহন আরও নিরাপদ করার আহ্বান জানিয়েছে এএসএন।
এমবিআর/পিআর