বর্ষবরণের পার্টিতে পরিবারের ৬ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দা সুচিপ সোরনসাং। বর্ষবরণ উদযাপন করতে শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে বর্ষবরণের একটি পার্টিতে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় তার। আর তারই জেরে পরিবারের ছয় সদস্যকে গুলি করে হত্যা করার পর আত্মহত্যা করেন তিনি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে মর্মান্তিক এ ঘটনার খবর জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার মধ্যরাতের পর নতুন বছর শুরু হওয়ার মাত্র ১০ মিনিটের মাথায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ বলছে, বর্ষবরণের একটি অনুষ্ঠান চলার সময় সুচিপ অনেক বেশি মদপান করেন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় তার। ঝগড়ার এক পর্যায়ে নিজের পিস্তল বের করে গুলি করা শুরু করেন তিনি। নিহতের মধ্যে তার নয় বছর বয়সী ছেলে ও ছয় বছর বয়সী মেয়েও রয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল লারপ কামপাপান জানিয়েছেন, ‘নিহতরা সবাই সুচিপের পরিবারের সদস্য। আমরা ধারণা করছি, তাদের মাথায় অথবা শরীরে গুলি করা হয়। শ্বশুরবাড়িতে স্বাগত না জানানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে এমন কাজ করেন তিনি।’
নিহত বাকী চার জনের মধ্যে দু’জন নারী ও দু’জন পুরুষ। তাদের বয়স ৪৭ থেকে ৭১ বছরের মধ্যে। তারা সুচিপের স্ত্রীর আত্মীয়। সবাইকে গুলি করে হত্যার পর সুচিপ নিজের মাথায় গুলি করেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে তার পরিবারের সদস্যদের একজন বেঁচে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, মাদক-সংক্রান্ত অপরাধীদের তালিকায় নাম আছে সুচিপের। মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে এর আগে জেলও খেটেছেন তিনি। তবে পরিবারের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটানোর রেকর্ড নেই তার। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে রেকর্ড পরিমাণ মানুষের কাছে বন্দুক আছে। তবে এরকম গণহত্যার ঘটনা খুব কম।
এসএ/এমকেএইচ