পিছিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তিনমাসের জন্য স্থগিত করেছে দেশটির সরকার। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আগামী বৃহস্পতিবার নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
খুব শিগগিরই দেশটি থেকে আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হবে-যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসার কয়েকদিন পরই নির্বাচন স্থগিতের এ ঘোষণা আসল।
নির্বাচন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি বা আগস্টের শুরুর দিকে এ নির্বাচন হতে পারে।
একাধিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণ করতে পারেননি। এ ছাড়া তারা বলছেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তারা নির্বাচনের জন্য এখনও প্রস্তুতি নিতে পারেননি। এজন্য আরও সময় প্রয়োজন। এমতাবস্থায় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
নির্বাচন স্থগিতের আরেক কারণ সহিংসতা। কারণ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দেশটির জনগণের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। এ সময় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গ্রুপ তালেবান ও আইএস একাধিক নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্র ও ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়। এতে নিহত জন ১০ জন প্রার্থী। নিরাপত্তাজনিত কারণে একাধিক ভোটকেন্দ্রে ভোগগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার রাজধানী কাবুলে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে হামলাকারীদের গোলাগুলি ও আত্মঘাতি হামলায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই সরকারি কর্মচারী।
আফগানিস্তানে সরকারি কর্মচারীদের ওপর এ ধরনের হামলা চলছেই। সাধারণত তালেবানরা এ হামলা চালায়। পশ্চিমা দেশ সমর্থিত সরকার হটিয়ে তারা কট্টর শরিয়া আইন বলবৎ করতে চায়। তালেবানদের সঙ্গে ১৭ বছর ধরে চলা এ যুদ্ধ কয়েক মাস ধরে তীব্র হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলো তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানে মোতায়েন ১৪ হাজার মার্কিন সেনার প্রায় অর্ধেক প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রায় ৭ হাজার সেনাবাহিনী (দেশটিতে থাকা মোট সৈন্যের প্রায় অর্ধেক) যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবে। এ সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে আরও অনিশ্চয়তা বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসআর/আরআইপি