সরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী নারীকে দেয়া হলো এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত
গর্ভবতী মায়ের জন্য রক্তস্বল্পতা বিপদের কারণ। আর সেই বিপদ দূর করতে রক্ত নিতে গিয়েছিলেন এক গর্ভবতী মা। তবে এ রক্ত নেয়ায় তার জন্য কাল হলো। কারণ এ রক্তে যে এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে। ভারতের চেন্নাই প্রদেশের ৫০০ কিলোমিটার দূরে বিরুথুনগরের একটি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সরকার-পরিচালিত একটি রক্তদানকারী প্রতিষ্ঠানের তিন ল্যাব টেকনিশিয়ানকে বরখাস্ত করেছে সরকার। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রক্ত নেয়ার সময় রক্তদানকারীর রক্তে এইচআইভি আছে কি না, তা পরীক্ষা না করে তারা দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন।
এ ঘটনার পর সরকার বলছে, ক্ষতিপূরণ হিসাবে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। সঙ্গে ক্ষতিপূরণও দেয়া হবে।
তবে এ দম্পতি বলছেন, সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে আগে তার চিকিৎসা করা হোক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩ ডিসেম্বর এক যুবকের শরীর থেকে নেয়া রক্ত ওই নারীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। তবে ওই যুবক যখন সরকার পরিচালিত রক্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটিতে রক্ত দিতে যান তখন রক্তের টেস্টে কোনো এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়েনি। পরে চাকরির জন্য বিদেশে আবেদেন করার অংশ হিসেবে তিনি একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে রক্ত পরীক্ষা করাতে যান। এ সময় তার রক্তে এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়ে। বিষয়টি জানার পরই তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবহিত করেন। অথচ এর আগেই ওই নারীর শরীরে রক্ত প্রয়োগ করা হয়ে যায়।
এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, দুই বছর আগে ওই যুবক একটি বেসরকারি রক্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে রক্ত দেন। তবে ল্যাব কর্মকর্তারা এ সময তাকে রক্ত পরীক্ষার কোনো তথ্য তাকে দেননি। এমনকি ওই তথ্যের কোনো কপিও তাদের কাছে সংরক্ষিত নেই।
সংক্রামক থেকে বাঁচাতে ওই নারীকে জরুরিভিত্তিতে এইচআইভি প্রতিরোধক থেরাপি দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, তাৎক্ষণিকভাবে এই ভাইরাস ধরা পড়ায় তিনি হয়তো এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন, তবে তার সন্তানও এতে আক্রান্ত হয়েছে কিনা, তা ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে জানা যাচ্ছে না।
এসআর/এমকেএইচ