দেখা হবে কথা হবে ট্রাম্প-এরদোয়ানের
তুরস্কে যাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দুই নেতা কবে একত্রে মিলিত হচ্ছেন সেই দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গত বছরের মে মাসে এরদোয়ানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে তুরস্ক ভ্রমণ করতে চান। তবে ভ্রমণের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
কালীন বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের শুরুতে সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে ফোনে কথোপকথন হয়। এ সময় ট্রাম্পকে তুরস্কে ভ্রমণে আমন্ত্রণ জানানো হয়।’
এদিকে তুরস্কে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউস বলেছে, যেখানে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, সেখানে প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) ভবিষ্যতে তুরস্কে মিলিত হতেও পারেন।
গত সপ্তাহে সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চলতি সপ্তাহে তুরস্কে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল। বিষয়টি জানিয়ে মুখপাত্র আরও বলেন, ‘দেশটি (সিরিয়া) থেকে কীভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা।’
রোববার এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি এরদোয়ানের কাছ থেকে বহুল প্রতীক্ষিত ও ফলপ্রসূ একটি ফোন পেয়েছেন। ফোনে তারা সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গি সংগঠন আইএস, সিরিয়ায় আমাদের জড়িত যাওয়ার বিষয়টি এবং দেশটি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে ধীর অথচ সর্বোচ্চ সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলেছি। বহু বছর পর তারা (মার্কিন সৈন্য) বাড়িতে ফিরছেন।’ উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়েও কথা হয়েছে বলে জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ফোনালাপের পর এক টুইটবার্তায় এরদোয়ান জানান, ‘আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফলপ্রসূ ফোনালাপ হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সিরিয়া ইস্যুসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পারস্পারিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছি আমরা।’
এসআর/জেআইএম