সুনামি বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার পাশে অস্ট্রেলিয়া
সুনামিতে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, যারা আপনজন হারিয়েছেন, হতাহত হয়েছেন তাদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।
তিনি আরও বলেন, সব সময়ের মতই আমরা যে কোন প্রয়োজনে ইন্দোনেশিয়ার পাশে আছি। রোববার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুনামিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৪৫ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ৩০ জন।
ক্র্যাকাটোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের কারণেই সুনামি সৃষ্টি হয়েছে। ওই আগ্নেয়গিরি থেকে আবারও অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। জীবিতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যেই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। সুনামির কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে গেছে। কারিতা বীচের মোহাম্মদ বিনতাং বলেন, আকস্মিক পানির স্রোতে পর্যটন শহর অন্ধকারচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করেছে।
১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর বলেন, ছুটি কাটাতে রাত ৯টার দিকে আমরা ওই বীচে পৌঁছাই এবং হঠাৎ করেই পানি চলে আসে। সব কিছু অন্ধকার হয়ে যায়, বিদ্যুতও চলে যায়। চারপাশ নোংরা হয়ে গেছে। আমরা এখনও রাস্তায় বের হতে পারছি না।
সুনামিতে ৫৫৮ বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও নয়টি হোটেল, ৬০টি রেস্তোরাঁ এবং ৩৫০টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুনামিতে আবাসিক এবং পর্যটন এলাকা মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সুন্দা স্ট্রেইট উপকূলীয় এলাকায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাবে সুনামির সৃষ্টি হয়েছে। জাভা দ্বীপ ও সুমাত্রার মাঝখানে অবস্থিত সুন্দা স্ট্রেইট উপকূল জাভা সাগরকে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
তবে আগে থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। হঠাৎ করেই সুনামির আঘাতে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে শত শত বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় সুমাত্রা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় জাভা উপকূলে আঘাত হানে সুনামি।
টিটিএন/পিআর