বিবিসির সংবাদের ‘নিরপেক্ষতা’ যাচাই করবে রাশিয়া
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ এবং বিবিসি ওয়েবসাইটে রাশিয়া সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা যাঁচাই করবে রাশিয়ার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা। রাশিয়া সরকারের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়া সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘রাশিয়া বিষয়ক বিভিন্ন ঘটনায় বিবিসির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তারা পূর্বপরিকল্পিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এসব সংবাদ প্রকাশ করে। আর এ কাজটি তারা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে।’ তবে বিবিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাশিয়ার আইনকানুন পুরোপুরি মেনেই এসব সংবাদ প্রচার করে বিবিসি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফিস অফ কমিউনিকেশনস (অফকম) বৃহস্পতিবার বলেছে রাশিয়ার আন্তর্জাতিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আরটি (রাশিয়ান টুডে) তাদের সাতটি অনুষ্ঠানে নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছে। চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে এমনটা ঘটেছে বলে মনে করছে অফকম।
অফকমের বক্তব্যের জবাবে রাশিয়া পাল্টা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত আরও আগে। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের সালিসবারিতে একজন সাবেক রাশিয়ান গুপ্তচর সেরগেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের উপর নার্ভ গ্যাস হামলার ঘটনায় আরটির কভারেজ নিয়ে সমালোচনা করেছে অফকম।
যুক্তরাজ্য ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে। সে নিয়ে বেশ লম্বা সময় ধরে তিক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার সম্পর্কে। স্ক্রিপাল বিষয়ক সংবাদ যখন প্রকাশিত হচ্ছিলো তখন রাশিয়ার আরটি নিরপেক্ষ ছিলও না বলে মনে করে অফকম। কিন্তু এখন বিবিসির খবরকেও পক্ষপাতদুষ্ট বলছে রাশিয়া।
বিশেষ করে সিরিয়াতে রাশিয়ান সরকারের ভূমিকা নিয়ে যে খবর বিবিসিতে প্রচারিত হয় সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাশিয়া সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর প্রতি রাশিয়ার সমর্থন রয়েছে।
ফেসবুকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া যাখারোভা বলেছেন, অনেক আগেই বিবিসির সংবাদ পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন ছিল।
ব্রিটিশ সরকার রাশিয়ান গণমাধ্যমের ব্যাপারে ‘নির্লজ্জভাবে’ হস্তক্ষেপ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে, এখন বিবিসির সংবাদ যাচাই করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
এসএ/এমকেএইচ