থেরেসা মে স্টুপিড উইমেন : করবিন
ব্রেক্সিট ইস্যুতে একের পর এক তোপের মুখে পড়ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। দেশটির বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন হাউস অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে থেরেসা মেকে ‘স্টুপিড উইমেন’ বলে অভিহিত করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে জেরমি করবিনের কথাকে উপহাস করে তার এমন মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি করবিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি একবার নিজের দিকে চেয়ে দেখেন।’ মের দল কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা এমন মন্তব্যের জন্য করবিনের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন।
পার্লামেন্টের স্পিকার জন বেরকো বলেন, তিনি নিজে করবিনকে এমন মন্তব্য করতে শোনেন নি। তাই এ বিষয়ে দ্রুত রুল জারি করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি। অবশ্য কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা স্পিকারকে করবিনের মন্তব্যের ক্লিপস দেখানোর চেষ্টা করেন।
করবিনের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আইনপ্রণেতারা বলছেন, ‘হয় তাকে হয় ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে নাহলে তিনি কি বলেছেন সেটার ব্যখ্যা দিতে হবে। কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান জেমস এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘এ ধরনের নারী-বিদ্বেষী মন্তব্য কোনোভাবেই সহ্য করা যাবে না।’
তবে জেরমি করবিনের মুখপাত্র বলেন, ‘তিনি থেরেসা মেকে স্টুপিড উইমেন বলেন নি। তাই আমি মনে করি এখানে তার ক্ষমা চাওয়ার কোনো ভিত্তি নেই। আমি যা বুঝেছি তাতে মনে হয়েছে, তিনি ‘স্টুপিড পিপল’ বলেছেন।’
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় পঞ্চমুখ বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন। গত সপ্তাহে তিনি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের উদ্যোগ নিয়েছেন। ১৪ জানুয়ারির আগে ব্রেক্সিট চুক্তিতে আইনপ্রণেতাদের ভোট দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করার পর জেরেমি করবিন এই পদক্ষেপ নেন।
হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় গত সপ্তাহ থেকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রেক্সিট চুক্তি বিষয়ে ভোট বিলম্ব করছেন। লেবার পার্টির নেতা করবিন এর আগে বলেন, ব্রেক্সিট ইস্যুতে ভোটের জন্য এমপিদের এক মাস অপেক্ষা করা অগ্রহণযোগ্য। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যকে জাতীয় সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
এসএ/জেআইএম