ব্রাসেলসে অভিবাসীবিরোধী বিক্ষোভে হাজারো মানুষ
জাতিসংঘের নতুন অভিবাসন চুক্তির বিরুদ্ধে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ। অভিবাসন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনের বিরুদ্ধে তাদের এই প্রতিবাদ।
জাতিসংঘের নতুন চুক্তিটি অভিবাসীবান্ধব হওয়ায় তা সমর্থন করেছিলেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল। রোববার এই সমর্থনের প্রতিবাদে রাজধানী ব্রাসেলসের রাস্তায় নামেন হাজারো মানুষ।
পুলিশ বলছে, এই বিক্ষোভের আয়োজক কট্টর ডানপন্থি দলগুলো। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও পানি ছোড়ে। ৪০০-এর মতো বিক্ষোভকারী ইউরোপীয় কমিশনের ভবনে ঢুকে পড়লে সেখান থেকে ৬৯ জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে ওই ভবনের সম্পদ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের ব্যানারগুলোতে লেখা ছিল ‘আমাদের জনগণ সবার আগে’, ‘সীমান্ত বন্ধ করে দাও’, এমন অনেক স্লোগান। এই বিক্ষোভের প্রতিবাদে বামপন্থি এবং বেসরকারি কিছু সংগঠনের অন্তত এক হাজার সদস্য সিটি সেন্টারে পাল্টা বিক্ষোভ করে।
গত সপ্তাহে বেলজিয়ামের পার্লামেন্টে অভিবাসন চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বিরোধিতা করেছিল কট্টর ডানপন্থি দল নিউ ফ্লেমিশ অ্যালায়েন্স। মরক্কোতে অভিবাসন সম্মেলনে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে স্বাক্ষর করা নিয়ে আলোচনা চলছিল সংসদে। চুক্তিকে সমর্থন জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেলের ক্ষমতাসীন জোট।
আগামী বছরের মে মাসে বেলজিয়ামে কেন্দ্রীয় নির্বাচন। বিক্ষোভকারীরা মেয়াদ শেষের আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে। পাশাপাশি কিছু বিরোধী দল সরকারের বিপক্ষে আস্থা ভোটের আহ্বান জানায়। জাতিসংঘের অভিবাসনবান্ধব ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ১৯৩ দেশের সদস্য রাষ্ট্র সমর্থন দিয়েছিল। তবে পরে মোট ১৬৪টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এতে স্বাক্ষর করে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
এনএফ/জেআইএম