চাইলেই ব্রেক্সিট বাতিল করতে পারবে যুক্তরাজ্য
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয় অর্থাৎ ব্রেক্সিট চুক্তি যুক্তরাজ্য বাতিল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস। সোমবার ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের এ সংক্রান্ত একটি রুলে জানানো হয়েছে, এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদন নেয়ারও প্রয়োজন হবে না যুক্তরাজ্যের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোর্ট অব জাস্টিসের ওই রুলে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের সদস্যপদ সংক্রান্ত কোনো শর্ত পরিবর্তন না করেই এটা হতে পারে।
ইইউয়ের অন্য সদস্য দেশগুলোর অনুমতি না নিয়ে যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারবে কি-না তা জানতে চেয়ে ইসিজের রুলিং চেয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিটবিরোধী একদল রাজনীতিক। যার পরিপ্রেক্ষিতে, এমন রুল দিলেন ইইউ আদালত।
আগামী মঙ্গলবার টেরেজা মের ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোটভুটি হবে। যেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত জানাবেন সংসদ সদস্যরা। তার ঠিক একদিন আগে এমন মতামত দিল ইইউ আদালত। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে টেরেজার প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দেবেন অধিকাংশ সংসদ সদস্য।
গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ব্রেক্সিট বিষয়ে মত পাল্টানোর সুযোগ আছে যুক্তরাজ্যের। এরকম প্রস্তাবে নিজেও রাজি আছেন বলে জানান তিনি।
তার এমন মতামতের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বেশিরভাগ মামলায় আদালত তার মূল্যায়নকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। আর তিনি যেটা বলেন মূলত শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়। তাই তার মন্তব্যের পর থেকে ধারণা করা হচ্ছিল আদালতও এমন মতামত দেবেন।
এসএ/এমকেএইচ