ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বিয়ের জন্য মিয়ানমারের তরুণীদের চীনে পাচার করা হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:১৩ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮

গেল কয়েকবছর সারা বিশ্বে মিয়ানমারের নাম আলোচনায় রয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে। দেশটির যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দারিদ্র্যপীড়িত দু’টি এলাকা থেকে হাজারো নারীকে চীনে পাচার করা হচ্ছে। চীনে নিয়ে তাদের চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

সেখানেই শেষ নয়, এরপর জোর কারে তাদের বিয়ে দেয়া হচ্ছে, বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিতেও বাধ্য করা হচ্ছে।

জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। চীনে অবস্থানরত এবং চীন থেকে মিয়ানমারে ফেরা নারীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন ও শান থেকে অন্তত সাড়ে সাত হাজার নারী চীনে পাচার হয়েছেন। পাচারের সঙ্গে স্থানীয় কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি, এমনকি নারীদের পরিবারের কোনো সদস্যও জড়িত থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে নারীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধেই দেশত্যাগে বাধ্য হন। তবে অনেক ক্ষেত্রে যে দারিদ্র্যও তাদের বাধ্য করে সে বিষয়টিও উঠে এসেছে গবেষণায়।

জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণার অন্যতম গবেষক ডব্লিউ. কোর্টল্যান্ড রবিনসন বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে দরিদ্র পরিবারের নারীদের কিনে নিয়ে বিয়ে করা এবং সন্তানের জনক হওয়ার প্রবণতা মূলত চীনের গ্রামাঞ্চলের পুরুষদের মধ্যেই বেশি।

শুধু মিয়ানমার থেকে নয় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনাম থেকেও অনেক নারী চীনে পাচার হয়েছেন। তবে বেশি পাচার হয়েছেন মিয়ানমারের শান এবং কাচিন থেকে।

গবেষণা থেকে জানা যায়, চীনের গ্রামাঞ্চলের বিয়েতে আগ্রহী অথচ পাত্রী পান না, এমন পুরুষরা কম বয়সী নারীই বেশি পছন্দ করেন। তাই কম বয়সী নারীর কদর বেশি। পাচারের শিকারের নারীদের দাম ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার ডলারের মধ্যে ওঠা-নামা করে বলেও গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে।

এই দামে কাউকে কিনে নিয়ে সন্তান জন্ম দিয়ে সেই নারীকে আবার অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দেন চীনের পুরুষরা।

মুন নে লি নামে গবেষকদলের একজন জানান, মিয়ানমারের অনেক নারী চীন থেকে পালিয়ে এসেও রেহাই পান না। এমন নারীর দেখাও তিনি পেয়েছেন, যিনি দু’বার চীন থেকে পালিয়ে এসেছেন। তাতে কোনো লাভ হয়নি। ফেরার পর আবার ধরে নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে তাকে।

সূত্র : ডয়েচে ভেল।

এনএফ/পিআর

আরও পড়ুন