ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা হয়েছে : মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার হয়েছে। সোমবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আইনি সংস্থা পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি গ্রুপ নামের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এ কথা জানিয়েছে।

গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী বর্বর হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও জাতিগত নিধন অভিযান চালায়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার তদন্তের ভার দেয় পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি গ্রুপ নামের আইনজীবীদের ওই সংগঠনটিকে। তদন্তে গণহত্যার প্রমাণ পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

তদন্ত শেষে তারা জানায় রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধন অভিযান যে স্পষ্টতই একটি গণহত্যা এ বিষয়ে তাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভয়াবহ নির্যাতন ও হত্যার শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমন জাতিগত নিধন অভিযানে ভুক্তভোগীদের বিচারের জন্য ওই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।

পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি গ্রুপ (পিআইএলপিজি) গত সোমবার জানায়, রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যেসব রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের মধ্যে এক হাজারের বেশি ভুক্তভোগীর সাক্ষাতকারের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা নিশ্চিত হয়েছে রোহিঙ্গাদের বিরেুদ্ধে গণহত্যা হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর যে গণহত্যা চালিয়েছে তা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ।

ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি গ্রুপের পল উলিয়ামস বলেন, ‘আমাদের নেয়া সাক্ষাতকারে এটা খুব স্পষ্ট যে, প্রকৃতপক্ষে বৈধ উপায়ে পাওয়া তথ্যের উপসংহারে এটা বলা যায়, রোহিঙ্গারা যুদ্ধাপরাধ, মনবাতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার শিকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সহিংসতা চালানো অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি মামলা আনার পর্যাপ্ত আইনি ভিত্তি রয়েছে। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত অত্যাচার ও অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তাদেরকে আইনি জবাবদিহিতার মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন করার সুপারিশ করা উচিত।’

এসএ/এমএস

আরও পড়ুন