ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

এবার বেঙ্গালুরু থেকে বাঙালি উচ্ছেদের তোড়জোড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

আসামে এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ভারতের নানা প্রান্তে ‘অবৈধ বিদেশি’ তাড়ানোর যে হিড়িক পড়েছে, সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরের নাম।

কর্ণাটক রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস এবং জেডি(এস) জোট। কিন্তু হোয়াইট ফিল্ড এলাকার বিধায়ক বিজেপি নেতা এবং ওই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অরবিন্দ লিম্বাভালি। তার নেতৃত্বে বেঙ্গালুরু শহরে হাজার হাজার বাংলাভাষীকে 'অবৈধ বাংলাদেশি' আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ।

উচ্ছেদ-আতঙ্কে থাকা এসব মানুষের বেশির ভাগই মুসলিম। তবে তারা নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক বলে দাবি করেছে। তাদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রও রয়েছে। এরপরও রাজ্য বিজেপির নেতা-বিধায়কদের দাবি সেগুলো বেশির ভাগই জাল এবং তাদের কর্নাটক থেকে তাড়াতেই হবে।

এদিকে এরকম নিম্ন আয়ের বাঙালিদের ব্যাঙ্গালুর থেকে তাড়ানোর জন্য সোমবার চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও বামপন্থীদের আন্দোলনের মুখে সেই 'ডেডলাইন' আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।

প্রায় তিন মাস আগে ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি (টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ব্যাঙ্গালুরের নানা বস্তিতে হাজার হাজার 'বাংলাদেশি' অবৈধভাবে বসবাস করছেন এবং তারা প্রায় প্রত্যেকেই অবৈধ উপায়ে ভারতের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।

Limbavali

এর পরপরই ব্যাঙ্গালুরে বাংলাদেশি তাড়ানোর অভিযান ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যার নেতৃত্ব দেন কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসেবে পরিচিত মহাদেবপুরার বিজেপি এমএলএ ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অরবিন্দ লিম্বাভালি।

তিনি কয়েক দিন আগে টুইট করেন ‘অবৈধ বাংলাদেশিরা’ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি - কোনো শিল্পমালিক তাদের কারখানায় বা সাইটে কাজে লাগালে কড়া শাস্তি পেতে হবে। তাদের তাড়ানোর জন্য শহরের সোনডেকোপ্পাতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে কর্নাটক বিজেপির মুখপাত্র ড. ভামান আচার্য বিবিসিকে বলেছেন, ‘আসলে আগে আমাদের রাজ্যে অভিবাসী শ্রমিকরা আসতেন বিহার বা উড়িষ্যা থেকে। কিন্তু গত দুই-তিন বছর ধরে যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি।’

তিনি আরও বরেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে তারা প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে আসেন, সেখান থেকে পাড়ি দেন দক্ষিণ ভারতে। কিন্তু পুলিশ এখন দেখতে পাচ্ছে তাদের বেশির ভাগ পরিচয়পত্রই জাল, তারা এদেশে অবৈধভাবে বাস করছেন।’

এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন