ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পর্নো সাইটে, অতঃপর...
ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত আচেহ প্রদেশ। মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই প্রদেশে। এখানকার মানুষ ধর্মীয়ভাবে এখনও বেশ কট্টরপন্থী। সেখানকার কিশোররা কোরআন শিক্ষার ক্লাসে না গিয়ে পর্নো সাইটে ঢুকে ধরা পড়ায় অঞ্চলটিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার প্রদেশটির বিরিয়ান জেলার কুরি বারোহ নামের গ্রামে এ সংক্রান্ত একটি ফরমান জারি করা হয়েছে। ইসলামিক দৃষ্টিতে গোনাহর কাজ হওয়ায় কিশোরদের এসব আচরণকে অপকর্ম হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সেখানকার রেস্তোরাঁগুলো থেকে ওয়াইফাই (তারবিহীন) ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আচেহ প্রদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যূষিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখনও ইসলামিক আইন কঠোরভাবে মানা হয় ওই অঞ্চলে। যদি কোনো ব্যক্তি সমকামীতা, জুয়া ও মদপানসহ এ ধরনের কোনো অপরাধ যদি করে তাহলে তাদেরকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করার নিয়ম রয়েছে সেখানে।
আচেহ প্রদেশের বিরিয়ান নামের ওই জেলাটিতে চলতি বছর বিয়ের আগে কোনো নারী-পুরুষের একসঙ্গে খাবার খাওয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সেই সংবাদ প্রকাশ পেলে বেশ সমালোচনার সূত্রপাত হয়।
কর্মকর্তারা গ্রাম্য সর্দারদের ওয়াইফাই বন্ধের ঘোষণা দিয়ে জারি করা ফরমানের পক্ষে কথা বলছেন। তাদের ভাষ্য, ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রতি পাঁচ ঘণ্টায় একজন শিশুকে ২১ মার্কিন সেন্ট খরচ করতে হয়। তাছাড়া এর কারণে শিশুদের নৈতিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মুক্তার উদ্দিন নামে ওই গ্রামের এক নেতা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আগে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ে শিশুরা কোরআন তিলওয়াত করতো। কিন্তু যখন থেকে এই ওয়াইফাই ইন্টারনেট এসেছে তারপর শিশুরা আর সেটা করে না। তারা এখন সুযোগ পেলেই ওইসব রেস্তোরাঁয় চলে যায়। সেখানে গিয়ে অশ্লিল সব সাইটে ঢুকে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও দেখে। যা তাদের নৈতিকতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’
এসএ/পিআর