ইউরোপে ‘দুর্বল’ ধর্ষণ আইন পরিবর্তনের আহ্বান
আজ (২৫ নভেম্বর) নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান ঘটানোর আর্ন্তজাতিক দিবস। এদিকে ইউরোপে ধর্ষণ আইনকে ‘দুর্বল’ উল্লেখ করে তা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
দিবসটির প্রাক্কালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে জার্মানিসহ ইউরোপের মাত্র ৮টি দেশে অসম্মতি সত্ত্বেও যৌনমিলনকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাকি দেশগুলোতে দেশে এখনও ‘সেকেলে’ ধর্ষণ আইন প্রচলিত আছে ৷
এই মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে ইউরোপের ৩১টি দেশের মধ্যে ২৩টিতে ধর্ষণ বলতে যৌন সম্পর্কের সঙ্গে সহিংসতা, হুমকি কিংবা অন্যান্য বলপ্রয়োগের বিষয়কে বোঝানো হয়। কিন্তু সেখানে অসম্মতির বিষয়টিকে এক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হয় না।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে ইউরোপের কিছু দেশে এখনও অসম্মতি সত্ত্বেও যৌনমিলনকে জোরপূর্বক অর্থাৎ সহিংস আচরণ, হুমকি কিংবা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে যৌনমিলনের তুলনায় কম অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এরমধ্যে মাল্টায় যৌন অপরাধকে পরিবার বিষয়ক এক আইনের আওতায় বিচার করা হয়।
এদিকে, সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে এক নারীর তোলা ধর্ষণের অভিযোগ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। কারণ আসামির আইনজীবী আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে অভিযোগকারী নারী অন্তর্বাস হিসেবে ‘থং' পরেছিলেন, যা আইনজীবীর ভাষায় ‘যৌনমিলনে সম্মতির ইঙ্গিত বহন করে৷' আদালত তাই আসামিকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে রেহাই দেন। অবশ্য ওই আদেশের প্রতিবাদে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন দেশটির নারী অধিকারকর্মীরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ‘ফান্ডামেন্টাল রাইটস' বিষয়ক এজেন্সির দেয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানে ১৫ বছর বয়স থেকে হিসেব করলে ৯ মিলিয়নের মতো নারী ধর্ষিত হয়েছেন।অর্থাৎ ইউরোপে প্রতি ২০ জন নারীর মধ্যে একজন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন । সূত্র : ডয়েচেভেলে
এমএমজেড/পিআর