চার মন্ত্রীসহ ১১ জনকে বহিষ্কার বিজেপির
দলে কোনোভাবেই ঠাঁই দেওয়া হবে না বিদ্রোহীদের। শুক্রবার দল থেকে রাজ্যের চার মন্ত্রীসহ ১১ জন বিদ্রোহী নেতাকে বহিষ্কার করে সেটা বুঝিয়ে দিল রাজস্থান বিজেপি। শুধু তাই নয়; তাদের সদস্যপদও কেড়ে নেয়া হয়েছে ছয় বছরের জন্য। খবর আনন্দবাজার
বিধানসভার ভোট নিকটে। বৃহস্পতিবারই মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। সেই পর্ব মিটতেই বড়সড় পদক্ষেপ করল রাজ্য বিজেপি। ভোটের আগে এটা নিঃসন্দেহে দলের কাছে একটা বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
দলের অন্দরেই একটা ক্ষোভ ছাইচাপা আগুনের মতো জ্বলছিল। ভোট আসতেই সেই আঁচটা যেন টের পাওয়া গেল। প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতেই সেই আঁচটা যেন প্রকট হয়ে ধরা দিল। দলের টিকিট না পেয়েই বিদ্রোহ শুরু করে দেন বেশ কিছু নেতা-মন্ত্রী। ক্ষোভ উগরে দেন বসুন্ধরা সরকারের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি যাতে কোনোভাবেই নষ্ট না হয় সেদিকে কড়া নজর রেখেছিল দল। তাই এই সব নেতা-মন্ত্রীরা যখন দলেরই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন, তখনই খাঁড়াটা এসে পড়ল তাদের ওপর।
বৃহস্পতিবার রাতেই দলের রাজ্য সভাপতি মদনলাল সাইনি নির্দেশ জারি করে ১১ জন বিদ্রোহীকে দলের বাইরের রাস্তাটা দেখিয়ে দিলেন।
বহিষ্কৃতদের তালিকায় রয়েছেন বসুন্ধরা রাজের ক্যাবিনেটের তিন মন্ত্রী। তারা হলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুরেন্দ্র গয়াল, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দফতরের হেমসিংহ ভারানা, দেবস্থান মন্ত্রী রাজকুমার রিনওয়া এবং জুনিয়র পঞ্চায়েতি রাজ এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ধন সিংহ। এই চারজনই স্বতন্ত্র হিসেবে লড়বেন।
দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সূচনাটা করেছিলেন রামগড়ের বিধায়ক জ্ঞানদেব আহুজা। গত ১৮ নভেম্বর তিনি দল থেকে ইস্তফা দেন। কারণ, তাকে দলের টিকিট দেয়া হয়নি। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরে তিনি মনোনয়ন তুলে নেন এবং দলে ফিরেও আসেন। তাকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির পদে নিয়োগ করা হয়।
শুধু জ্ঞানদেব আহুজাই নন; ভোটের টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে বেশ কয়েকজন নেতাও দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
এসআর/পিআর