ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বড়লোকের চেয়ে ১০ বছর কম বাঁচে গরিব মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

যুক্তরাজ্যে ধনী এবং দরিদ্রদের সম্ভাব্য আয়ুর মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ধনীদের তুলনায় দরিদ্ররা ১০ বছর কম বাঁচে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ল্যানসেট পাবলিক হেলথের একটি জার্নাল অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ধনী এবং সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মধ্যে সম্ভাব্য আয়ুষ্কালে পার্থক্য বেড়ে গেছে। সবচেয়ে ধনী মেয়ে শিশু ও নারীরা সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত নারী ও মেয়ে শিশুদের তুলনায় বেশিদিন বাঁচে। এই হার আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। ২০০১ সালে এই পার্থক্য ছিল ৬.১ বছর যা বেড়ে ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমকি ৯ বছর।

ওই গবেষণা অনুযায়ী, সবচেয়ে ধনী এবং সুবিধাবঞ্চিত ছেলে শিশু এবং পুরুষদের মধ্যে সম্ভাব্য আয়ুষ্কালের পার্থক্য ৯ বছর থেকে ৯ দশমিক ৭ বছর বেড়েছে।

যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিষয়ক অধ্যাপক মাজিদ ইজাতি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে সব বয়সে এবং সব ধরনের রোগে ধনী এবং গরিবের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। যা থেকে এটাই বোঝায় যে, বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠী বেশি দুর্দশা ভোগ করে।

তিনি বলেন, সামগ্রিক স্বাস্থ্য সেবা থেকেও বঞ্চিত দরিদ্ররা। বিশেষ করে যেসব দেশে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ রয়েছে সেখানেও সঠিকভাবে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না দরিদ্ররা। স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার সমন্বয় রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এক দশক আগেও ইজাতির নেতৃত্বে এমন একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সম্ভাব্য আয়ু ছিল ৭২ বছর। ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তা সাড়ে পাঁচ বছর বেড়েছে। ১৯৬০ সালের চেয়ে এই পরিবর্তন কিছুটা বেশি।

নতুন ওই গবেষণায় ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেথ ইন ইংল্যাণ্ডের দফতর থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য নেয়া হয়েছে। গবেষকরা এব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন। ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ সালে বেশিরভাগ দেশেই সম্ভাব্য আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইজাতি বলেন, আমরা জানি দীর্ঘায়ু মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু দরিদ্ররা বেশিদিন বাঁচার চেয়ে জীবন হারাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দরিদ্য সম্প্রদায়ের লোকজনের সম্ভাব্য আয়ু গত ছয়-সাত বছরের তুলনায় কমে গেছে। কিন্তু ধনীদের ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন