সিআইএ মিথ্যা বলেছে, দাবি সৌদি মন্ত্রীর
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সম্প্রতি দাবি করেছে যে, সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সিআইএর এই দাবিকে মিথ্যা বলছেন সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তুর্কি সরকারের দেয়া অডিও রেকর্ডিং, বিভিন্ন প্রমাণাদি এবং মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই সিআইএ জানিয়েছে যে, প্রিন্স সালমানের নির্দেশেই জামাল খাশেগিকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তকারীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, খাশোগিকে হত্যার মতো এমন একটি অপারেশন প্রিন্স সালমানের অনুমতি ছাড়া হয়নি।
তবে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার সিআইএর এই দাবিকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন। একটি আরবি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, ক্রাউন প্রিন্সের নির্দেশে জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে এমন কথা মিথ্যা। অপরদিকে সিআইএর এই মূল্যায়ণে অনুমোদন দেয়নি হোয়াইট হাউসও।
প্রথমবারের মতো সিআইএর প্রতিবেদন সম্পর্কে সৌদির আল শারক আল আওসাত পত্রিকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া সাক্ষাতকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর বলেন, সৌদি রাজতন্ত্রে বসবাসকারী আমরা জানি যে, ক্রাউন প্রিন্সের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা। এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। আমরা সুনিশ্চিতভাবেই এটা প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরও বলেন, এটা তাদের মূল্যায়ণ। কিন্তু এর বিপরীতে তাদের কাছে কোন প্রমাণ নেই। তারা ধারণার ওপর ভিত্তি করেই এসব কথা বলছে।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তুরস্কের বিবৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই তুর্কি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তাদের মন্তব্যে সৌদির ঊচ্চ পর্যায় বলতে তারা কি বুঝিয়েছে সে বিষয়ে তারা জানিয়েছে। তারা সুনিশ্চিতভাবেই এখানে ক্রাউন প্রিন্সকে বোঝায়নি।
খাশোগি সৌদি রাজপরিবারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন তিনি। তার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলতে কনস্যুলেটে যাওয়ার পর সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তার মরদেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
প্রথমদিকে খাশোগিকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে সৌদির তরফ থেকে জানানো হয় যে, কনস্যুলেটের ভেতরে সংঘর্ষে জড়িয়ে নিহত হন খাশোগি। তবে এই ঘটনায় প্রিন্স সালমানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করা হচ্ছে।
টিটিএন/জেআইএম