সরকার বাঁচাতে পারবেন নেতানিয়াহু?
আগাম নির্বাচন ঠেকাতে শরিক জোটের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে আগাম নির্বাচন করলে তা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জেরে সম্প্রতি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিবারম্যান। এরপর নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে নিজের দলের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের ১২০টি আসনের মধ্যে লিবারম্যানের দল বেইতেনুওর পাঁচটি আসন রয়েছে।
ক্ষমতাসীন জোট থেকে লিবারম্যানের দলের সমর্থন প্রত্যাহার করায় নেতানিয়াহু সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। মূলত এরপরই বিরোধী দলগুলো আগাম নির্বাচনের জন্য চাপ দেয়া শুরু করে। বিরোধীদের এমন চাপের মুখে নেতানিয়াহু সংসদে তার দল লিকুদ পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়।
ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক দল কুলানু পার্টির নেতা অর্থমন্ত্রী মোশে কালনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক টেলিভিশন ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘সরকার ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন করলে তা হবে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়।’ অর্থমন্ত্রী মোশের সঙ্গে তার এ বৈঠকটিকে সরকার বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে ভাবা হলেও কোনো রকম অগ্রগতি ছাড়াই সে আলোচনা শেষ হয়।
এদিকে লিবারম্যানের পদত্যাগের পর পরই হাবাইয়িত হায়েহুদি নামে দেশটির আরেকটি রাজনৈতিক দলের নেতা নাফতালি বেনেতের সঙ্গে বৈঠক করেন নোনিয়াহু। কিন্তু বেনেত নিজেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চেয়ে বসলে সে আলোচনাতেও কোনো অগ্রগতি হয় না।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা সীমান্তে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সহিংসতায় আটজন নিহত হওয়ার পর সাময়িক অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়। কিন্তু সেই চুক্তির বিরোধিতা করে ১৪ নভেম্বর নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন লিবারম্যান।
লিবারম্যানের দল ক্ষমতাসীন জোট থেকে সরে গেলে মাত্র একটি আসনের জন্য সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় নেতানিয়াহুর সরকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার বাঁচানোর চেষ্টায় সফল হলে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। কিন্তু নেতানিয়াহু অন্য দলের সমর্থন নিয়ে কি সরকার বাঁচাতে পারবেন? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
এসএ/জেআইএম