এক মিসরীয় নারীকে বিয়ে করেছিলেন খাশোগি
এক মিসরীয় নারী দাবি করেছেন যে, মৃত্যুর কয়েক মাস আগেই তাকে বিয়ে করেছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। চলতি বছর একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ওই নারী জামাল খাশোগিকে বিয়ে করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর খুন হন জামাল খাশোগি। সে সময় তিনি তার তুর্কি বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিসকে কনস্যুলেটের বাইরে রেখে গিয়েছিলেন। হাতিস দীর্ঘ সময় সেখানে খাশোগির জন্য অপেক্ষা করেছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও খাশোগি আর ফিরে আসেননি। এরপরেই তার নিহত হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসে।
প্রথমদিকে খাশোগিকে হত্যার কথা অস্বীকার করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে, খাশোগিকে ওই কনস্যুলেটের মধ্যেই হত্যা করা হয়েছে।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানই ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে সম্প্রতি উল্লেখ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। তবে সৌদি সরকার এ ঘটনায় প্রিন্স সালমানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
এক সাক্ষাতকারে নিজেকে খাশোগির স্ত্রী হিসেবে দাবি করা ওই মিসরীয় নারী বলেন, একজন মুসলিম নারী হিসেবে নিজের পূর্ণ অধিকার এবং স্বীকৃতি পেতে খাশোগির সঙ্গে তার সম্পর্ক তিনি প্রকাশ করতে চান।
তবে নিজের নিরাপত্তা এবং চাকরির খাতিরে ওই নারী তার পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে তিনি তার নামের প্রথম এবং শেষ অংশ এইচ. এটিআর বলে উল্লেখ করেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে ক্ষুদেবার্তায় ওই নারী জানান, গত জুনে ওয়াশিংটনের একটি শহরতলীতে তাদের বিয়ে হয়েছে। তাদের দু'জনের ছবিও আছে তার কাছে। এর মধ্যে বেশ কিছু তাদের বিয়ের ছবি।
খাশোগির দীর্ঘদিনের এক সহযোগীও এই বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি তাদের বিয়েতে ওই নারীর সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনিও নিরাপত্তার খাতিরে নিজের নাম প্রকাশ করেননি।
এই বিয়ে সম্পর্কে খাশোগির পরিবারের লোকজন কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তার তুর্কি বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস টেলিফোনে এক সাক্ষাতকারে বলেন, ওই নারীর সঙ্গে খাশোগির সম্পর্কের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। ওই নারীর এসব কথার উদ্দেশ নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি।
হাতিস বলেন, জামাল আমাকে ওই নারীর সম্পর্কে কিছুই বলেননি। জামাল সম্পর্কে মানুষের ধারণা কেন পাল্টাতে চাচ্ছেন ওই নারী? তিনি কি চান? আমার সন্দেহ হচ্ছে যে, জামালের সুনাম নষ্ট করতে এবং তাকে অসম্মান করতেই এ ধরনের প্রচেষ্টা চলছে।
টিটিএন/এমএস