নেশা করতে ডিওডোরেন্ট শুঁকে প্রাণ গেল কিশোরের
ডিওডোরেন্ট শুঁকে নেশা করেছিল ১৯ বছর বয়সী এক কিশোর। কিন্তু আজব এই নেশায়ই প্রাণ হারাতে হলো তাকে। নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। নেদারল্যান্ডসের যে চিকিৎসক ওই কিশোরের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি এই ঘটনায় রাসায়নিক গ্রহণের মারাত্মক পরিণতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
রোটারডামের মাসস্টাড হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারের চিকিৎসক কেলভিন হারভে ক্র্যাম্প জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। ক্র্যাম্প ব্যাখ্যা করেছেন যে, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ডিওডোরেন্ট শুঁকে নেশা করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা মোটেও স্বাভাবিক নয়। তবে ক্রমাগত এমন বিপজ্জনক কাজের পরিণতি কি হতে পারে তা জানা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ওই কিশোরের মানসিক কিছু সমস্যা আগেই ধরা পড়েছিল। ক্যানেবিস এবং কেটামিন অপব্যবহার এবং এন্টিসাইকোটিক মাদক গ্রহণের কারণে তাকে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল।
গত জুলাই মাসে ওই কিশোর তার মাথায় একটি তোয়ালে পেচায় এবং উচ্চ মাত্রায় ডিওডোরেন্ট স্প্রে শুঁকতে থাকে। নেশা করার জন্যই মূলত এমন করেছিল সে। তখনই তার মধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। তার রক্ত প্রবাহ হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং তার হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম ব্যহত হয়ে সে পড়ে যায়।
তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা জানান যে, তিনি কোমায় চলে গেছেন এবং তার অবস্থা আর স্বাভাবিক হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থ হয়ে ফিরে আসার মতো যথেষ্ঠ ব্রেন ফাংশন তার ছিল না। হাসপাতালে ভর্তির নয়দিন পরেই তার মৃত্যু হয়।
এভাবে ডিওডোরেন্ট শুঁকে নেশা করা লিভার, কিডনি এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে। কখনও কখনও তা আচার-আচরণ এবং মস্তিষ্কও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে বিভিন্ন মাদক গ্রহণ করে প্রায় ১২৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্কুলে শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সচেতন করে গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করেন ক্র্যাম্প। তিনি জানিয়েছেন, অ্যারোসল জাতীয় জিনিস ব্যবহার করেও প্রতি বছর বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হচ্ছে।
টিটিএন/এমএস