হামাসের টিভি স্টেশন গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল
২০১৪ সালের যুদ্ধের পর সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন। গাজা উপত্যকায় স্থানীয় এক হামাস কমান্ডারসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর থেকেই নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
সর্বশেষ মঙ্গলবার ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলার জের ধরে এক বিমান হামলায় হামাসের টেলিভিশন স্টেশন গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় স্থানীয় এক হামাস কমান্ডারসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৪০০-এর বেশি রকেট হামলা ও মর্টার বোমা ছুড়েছে হামাসসহ কিছু সশস্ত্র গ্রুপ। বোমা হামলা থেকে বাঁচতে দক্ষিণ ইসরায়েলের সিরেন শহর ও আশকেলন বন্দরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, এসব বোমা বেশ কিছু স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। তবে ইসরায়েলের রকেট হামলা প্রতিরোধ ব্যবস্থা আইরন ডোম একশোর বেশি হামলা প্রতিহত করেছে।
ইসরায়েল বলছে, হামাসের রকেট হামলার জবাবে তারা গাজায় কয়েক ডজন বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে করে হামাসের ইন্টেলিজেন্ট কম্পাউন্ট ও আল আকসা টেলিভিশন স্টুডিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার আগেই টেলিভিশন কর্মীদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল বলে দেশটির সামরিক বাহিনী দাবি করেছে।
টেলিভিশন স্টুডিওতে হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে টেলিগ্রাফ। এতে দেখা যাচ্ছে, আল আকসা টেলিভিশন স্টুডিওতে বিমান হামলার পর চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলে ওঠে। আর হামলাটি চালানো হয়েছে রাতে।
সম্প্রতি ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর একটি দল একটি বেসামরিক গাড়িতে করে গাজা উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করে চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালায়। এতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের ঊর্ধ্বতন কমান্ডার শেখ নূর বারাকা নিহত হন।
হামাসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবারের বিমান হামলায় তাদের একটি টেলিভিশন স্টেশন ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে হামলায় হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংঘর্ষে এক সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন।
এসআর/আরআইপি