ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

দিনে নাইটি পরলেই জরিমানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০৬ এএম, ১১ নভেম্বর ২০১৮

আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে অদ্ভুত অদ্ভুত সব নিয়ম। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে পঞ্চায়েতের প্রভাব রয়েছে- সেখানে এসব অদ্ভুত নিয়ম-নীতি আর নানা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা শোনা যায় অহরহ।

এমনই এক অদ্ভুত নিয়ম করা হয়েছে দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবাড়ি জেলায় তোকালাপালি গ্রামে। ওই গ্রামের নারীদের নাইটি পরার জন্য বিশেষ সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে সেখানকার পঞ্চায়েত।

অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় ওয়েস্ট গোদাবাড়ি জেলার থোকালা পল্লীতে মৎস্যজীবীদের বাস। সেখানেই এই বিশেষ নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে। রীতি মেনে ড্রাম বাজিয়ে গত বৃহস্পতিবার এই বিশেষ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দিনের আলোয় নাইটি পরা যাবে না।

এই নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে কোনো নারীকে নাইটি পরতে দেখলে তাকে দুই হাজার রুপি জরিমানা করা হবে। আর যারা দিনে নাইটি পরিহিত কোনো নারীকে ধরিয়ে দিতে পারবেন, তাকে ১ হাজার রুপি পুরস্কার দেয়া হবে।

গ্রামের নয়জন বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যের ওই কমিটি এ বিষয়ে কঠোরতর কৌশল অবলম্বন করেছে যাতে করে গ্রামের ১৮০০ নারীর কেউ এ নিয়ম ভাঙতে না পারেন। মতে, নাইটি শুধু রাতে পরার পোশাক।

নয় মাস ধরে এ নিয়ম চালু হলেও গত বৃহস্পতিবার রাজস্ব কর্মকর্তারা গ্রামটিতে গেলে এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

গ্রামের মানুষ ওই কর্মকর্তাদের জানান, কেউ যদি জরিমানা দিতে ব্যর্থ হয়, তাকে একঘরে করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে কিছু জানাতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।

তবে নির্দেশ জারি করার পরের দিন স্থানীয় তহসিলদার ও পুলিশ কর্মকর্তা এ বিষয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কেউ আপত্তি জানাননি।

আসলে এই নিয়মটা নাকি চেয়েছিলেন নারীরাই। তাদের দাবি, গ্রামের পুরুষরা নারীদের এই নাইটি পরায় অস্বস্তি বোধ করেন। তারা পছন্দ করেন না যে নারীরা নাইটি পরে দোকান-বাজারে ঘুরে বেড়ান। তাই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ওই কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খোলা জায়গায় কাপড় ধোয়া, দোকানে যাওয়া এবং কোনো জমায়েতে নাইটি পরে যাওয়া ভালো নয়। তারা আরও বলেন, কয়েকজন নারী এই নিষেধাজ্ঞার জন্য বড়দের প্রস্তাব করেছেন। তবে নিয়ম ভঙ্গকারী নারীদের একঘরে করে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তারা।

এমবিআর/এমএস

আরও পড়ুন