এক জোড়া ‘নোংরা’ জুতার দাম ৭৩ হাজার টাকা!
নতুন জুতো কিনতে গেলে নিশ্চয়ই ঝকঝকে পরিষ্কার জুতোই বেছে নেবেন। আর যদি কোনো সাদা জুতো পছন্দ হয়, সেক্ষেত্রে তো সামান্য একটি দাগ লেগে থাকাও পছন্দ করবেন না। স্বাভাবিকভাবে মানুষ তেমনটাই করতে অভ্যস্ত। কিন্তু অবাক কাণ্ড! বাজারে এসেছে ‘নোংরা’ চেহারার একটি জুতো। যার দামও আবার আকাশছোঁয়া।
নতুন জুতো মানেই তা হবে চকচকে। যাতে দেখেই বোঝা যাবে ব্র্যান্ড নিউ। কিন্তু সেসব দিন বোধহয় এখন অতীত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে মানুষের রুচি-পছন্দও। যে জিনিসটা ‘হটকেক’ সেটাই এখন ট্রেন্ড। তাই ‘নোংরা’ জুতোই নাকি বর্তমানে ফ্যাশনে ইন।
আর সে কথা মাথায় রেখেই জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থা গুচ্চি একটি নতুন স্নিকার্স বাজারে এনেছে। যাকে সাদা স্নিকার্স বললে সম্পূর্ণ ঠিক বলা যাবে না। কারণ সাদা রঙে ধুলো-ময়লা লাগলে ঠিক যেমন অফ-হোয়াইট রঙ হয়ে যায়, এ স্নিকার্সের রঙ এক্কেবারে তেমন। এটিই নাকি ফ্যাশন। আর দাম শুনলে তো আরও অবাক হবেন। স্নিকার্সটির দাম (বাংলাদেশি টাকায়) প্রায় ৭৩ হাজার টাকা। যা একজন সাধারণ মানুষের মাসিক আয়ের কয়েকগুণ বেশি।
গুচ্চির পক্ষ থেকে একটি ক্যাম্পেনে জানানো হয়েছে, ‘স্কাফড, ডার্টি অ্যান্ড ভিনটেজ স্পোর্টসওয়্যার’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই নতুন স্নিকার্স তৈরি করেছে তারা। মোট তিনটি রঙের এবং চারটি ডিজাইনের এমন ‘নোংরা’ জুতো কিনে নিতে পারেন ক্রেতারা।
গুচ্চি ও গুচ্চি ভিনটেজের ধাতব লোগো বসানো থাকবে এই জুতায়। যাতে জুতোটি নতুনের মতো ঝকঝকে না হলেও মানুষ বুঝে যায় এটি কিনতে আপনি কত টাকা ব্যয় করেছেন। আর জুতা জোড়ার সবচেয়ে বড় গুণ হলো, এটি কখনওই পরিষ্কার করার প্রয়োজন হবে না। কারণ যতই পরিষ্কার করুন, এ ‘নোংরা’ থেকেই যাবে।
তবে গুচ্চির এমন স্নিকার্স নেটদুনিয়ায় ইতোমধ্যে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। অনেকেই লিখেছেন, তারা তাদের পুরনো নোংরা জুতা জোড়া বিক্রি করার কথা ভাবছেন।
অনেকের আবার প্রশ্ন- এত দাম দিয়ে ‘নোংরা’ চেহারার জুতো কেন কিনবেন?
তবে যে যাই বলুক, গুচ্চি কিন্তু মার্কেট রিসার্চ করেই এ জুতো তৈরি করেছে। তাই তারা নিশ্চিত, এর ক্রেতাও রয়েছে বাজারে।
এমবিআর/এমএস