ডুবন্ত পুতুল ভেবে পানি থেকে তুলে দেখলেন জীবন্ত শিশু
গাস হাট। নিউজিল্যান্ডের এই নাগরিক পেশায় একজন মৎস্যজীবী। সকালে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। প্লেন্টি সাগরের নর্থ আইল্যান্ডের কাছে তার হঠাৎ মনে হয় একটি পুতুল হাবুডুবু খাচ্ছে। কী যেন মনে করে পুতুলটিকে পানি থেকে তুললেন। আর এতেই তার চোখ ছানাবড়া। এ-তো পুতুল নয়, জীবন্ত এক মানব শিশু। ঘটনাটি ঘটেছিল ২৬ অক্টোবর। খবর এনডিটিভির
গাস হাট বলেন, ‘আমি এগিয়ে ছেলেটির হাতটা ধরি, তখনও ভেবেছিলাম ওটা পুতুলই। মুখটা পুরো পোর্সেলিনের (সিরামিকের তৈরি এক ধরনের পণ্য) মতো লাগছিল। ছোট ছোট চুল, তখনই ও একটা হাঁচি দেয়, আর আমি ভাবি সেকি এটা একটা বাচ্চা।‘
হাট স্থানীয় মানুষ। তিনি আরও বলেন, ‘শিশুটি স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাচ্ছিল। আর এক মিনিট দেরি হলেই ওকে বাঁচাতে পারতাম না। আসলে ওর এখন যাওয়ার সময় হয়নি। তাই ও রক্ষা পেল। ও খুব ভাগ্যবান।‘
শিশুটির বয়স ১৮ মাস বলে জানা গেছে। নাম মালাচি রিভ। সে নিজের বাবা মায়ের তাবুর চেন খুলে বিচসাইড ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে সমুদ্রে চলে গিয়েছিল। মালাচির বাবা-মাকে খবর দেয়া হলে তারা ছুটে আসেন। মা জেসিকা হোয়াইট এসে দেখেন ছেলের শরীর নীলচে হয়ে গেছে ঠাণ্ডায়। ওইসময় তাকে খুব ছোট দেখাচ্ছিল। পরে ওষুধপত্র দিয়ে তাকে সুস্থ করা হয়।
এই দম্পতি জানান, শিশুটি সমুদ্র দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। তাই পরেরদিন সকালে উঠেই সেখানে যেতে চেয়েছিল।
নিউজিল্যান্ডের ওয়াটার সেফটির প্রধান নির্বাহী জন্টি মিলস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘মিলাচির ঘটনাটা যেকোনো মুহূর্তে দুর্ভাগ্যজনক হতে পারতো। গত বছরই কিছু শিশু ডুবে গিয়েছিল। একটা বাচ্চার ডুবে যেতে এক মিনিটও লাগে না। বড়দের প্রতি মুহূর্তে সচেতন থাকতে হবে।‘
ঘটনাটিকে ‘মিরাকুলাস’ আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। তারা বলেছেন ঘটনাটি যেকোনো সময়ে দুর্ঘটনায় পরিণত হতে পারতো। তবে শিশুটি কীভাবে সমুদ্রে গেল তা কোনো গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়নি।
এসআর/পিআর