ইতালিতে ঝড়ে উপড়ে গেছে দেড় কোটি গাছ
সপ্তাহব্যাপী চলমান ঝড় বৃষ্টিতে ইতালিতে আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। শনিবার ইতালির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার সারদিনিয়া দ্বীপে বজ্রপাতের আঘাতে এক জার্মান পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে বজ্রপাতে আঘাত পেয়ে কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই গাছের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে। ইতালির কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কোম্পানির অ্যাসোসিয়েশন কোলডিরেত্তি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তীব্র ঝড়ে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ গাছ ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের দূর উত্তরাঞ্চলেই এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে।
দূর উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের সিসিলি পর্যন্ত এলাকাগুলো ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভেনিসের আশপাশের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা ত্রেনটিনো ও ভেনেতো। ভূমিধসের কারণে ভেনিসের রাস্তা-ঘাট এবং বেশিরভাগ গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ভেনিস থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরের বেল্লুনোর কাছে আল্পস এলাকায় ঝড়ে পাইন গাছ ও রেড স্প্রুস গাছ ম্যাচের কাঠির মত সারি ধরে ভেঙে পড়েছে।
উত্তর দিকের অস্ট্রিয়ান সীমান্তের কাছে কোমেলিকো সুপেরিয়োর বাঁধের উপরের অংশ ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছের গুড়িতে ঢাকা পড়েছে। কোলদিরেত্তি জানিয়েছেন, ঝড়-বৃষ্টিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে প্রায় একশ বছরের মতো সময় লাগবে।
ভেনেতোর গভর্নর লুকা জাইয়া জানিয়েছেন, ঝড়ের কারণে ওই এলাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা কমপক্ষে এক বিলিয়ন ইউরোর সমান হবে।
বেসামরিক সংস্থার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেইলি জানিয়েছেন, ভেনেতোর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। ওই এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রোববার ওই এলাকা পরিদর্শন করবেন উপ-প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি।
টিটিএন/এমএস