সমকামী ধরতে হটলাইন
সমকামীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়া। সোমবার থেকে এ অভিযান শুরু হবে। সমকামীদের ধরতে ইতোমধ্যে হটলাইন চালু করছে দেশটি।
দারেস সালাম শহরের কমিশনার পল মাকোন্দা দিজ্জিম টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমরা নগরবাসীকে জানাতে চাই, আপনারা হটলাইনে আমাদের কাছে সমকামী ব্যক্তিদের তথ্য দিন। আমরা তাদের গ্রেফতার করব। এ সময় আগামী সোমবার থেকে গ্রেফতার অভিযান শুরু হবে বলে তিনি জানান।
তানজানিয়ায় সমকামীতা দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ এ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ ৩০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। শাস্তি থেকে বাঁচতে দেশটির সমকামী ও হিজড়ারা তাদের পরিচয় গোপন রাখতে বাধ্য হন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য সিটিজেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমকামীদের গ্রেফতার করতে একটি স্পেশাল ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এ ফোর্সে পুলিশ, মনোরোগবিশেষজ্ঞ ও সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমের সূত্র ধরে সমকামীদের অবস্থান নিহ্নিত করা হচ্ছে বলে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে।
দ্য সিটিজেনের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মাকোন্দা এক টুইটবার্তায় বলছেন, দারেসসালাম শহরটিতে একশোর বেশি সমকামী রয়েছেন।
আমেরিকার সংবাদ ও মতামতবিষয়ক ওয়েবসাইট ভক্স বলছে, প্রেসিডেন্ট মাগুফুলি সমকামিতাকে ‘অনৈতিক আচরণ’ মন্তব্য করে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় সমকামী, রুপান্তরকামী, উভকামী, উভলিঙ্গত্ব, হিজরা সম্প্রদায়ের (এলজিবিটি) জন্য ‘সবচেয়ে বাজে’ দেশে পরিণত হয়েছে তানজানিয়া।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কেউ যাতে এ শ্রেণির লোকদের কোনোরূপ আইনি সহায়তা ও তাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে না পারেন, সেজন্য সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার পল মাকোন্দা বলেছেন, কোনো কোনো দেশ হয়তো সমকামীদের সহ্য করতে পারে, তবে তার দেশ ও দেশের সংবিধান কোনোভাবেই তাদের সহ্য করবে না।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা সমকামীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি, তাই আপনারা মানবাধিকারের দোহাই দিতে আসবেন না। আপনি যা-ই বলেন না কেন ধর্মীয় গ্রন্থের লিখিত বিধিবিধানের বিরুদ্ধে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই আপনাদের আইন আপনাদের কাছেই রাখুন। সমকামীদের জন্য কোনো জায়গা দারেস সালামে হবে না।’
এসআর/এমএস