চিকিৎসকের পরামর্শে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করছে থাইল্যান্ড
সম্প্রতি গাঁজাকে বৈধতা দিয়েছে কানাডা। এ তালিকায় অষ্ট্রেলিয়া, ইসরায়েলও রয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি রাজ্যে গাঁজা অবধৈ নয়। এবার বৈধতা দিতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে এ-সংক্রান্ত বিলের একটি খসড়া মিলিটারিশাসিত জাতীয় আইনসভায় (এনএলএ) পাঠানো হয়েছে। আইনসভা এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিলেই গাঁজা বৈধতা পেতে আর বাধা থাকবে না।
আইনসভার জনস্বাস্থ্যবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জেট সিরাতরানন এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা বিলটি স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছে। আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যেই এর প্রথম পাঠ সম্পন্ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটা করছি, কারণ থাই জনগণের জন্য এটি বিরাট সুযোগ। থাইল্যান্ডের গাঁজার বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি রয়েছে। তবে এটি শুধু চিকিৎসাকাজে ব্যবহৃত হবে, চিত্তবিনোদনের জন্য নয়।’
গাঁজার বিভিন্ন ওষুধি গুণ রয়েছে। বিশ্বব্যাপী চাহিদার কথা মাথায় রেখে এর ওষুধি গুণকে কাজে লাগিয়ে গাঁজাজাত বিভিন্ন পণ্য উৎপাদক করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করতে চায় দেশটির সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্র্যান্ড ভিউ বলছে, থাইল্যান্ডই হবে এশিয়ার প্রথম কোনো দেশ যেটি গাঁজাকে বৈধতা দিয়ে বাজার দখল করতে চাচ্ছে। বাজার ধরতে সক্ষম হলে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এ খাতে ৫৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন (৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা) আয় করতে সক্ষম হবে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি।
মাদক উৎপাদক ও চোরাচালানের জন্য গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল খ্যাত থাইল্যান্ডে মাদক পাচার গুরুতর অপরাধ। তবে গাঁজাকে বৈধতা দিতে হলে বিদ্যমান মাদক-সংক্রান্ত আইনের সংশোধন দরকার হবে।
এসআর/আরআইপি