কী করুণ দৃশ্য, কী নির্মম সে আহাজারি
ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের একটি বিমান ১৮৯ যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের কিছু সময় পর জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি রাজধানী জাকার্তার বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর বিমানটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রীকে উদ্ধার করা যায়নি। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, বিমানের যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। তবে অলৌকিক কিছু ঘটলেও ঘটতে পারে।
যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কতটুকু তা বলে দিচ্ছে তাদের ব্যবহৃত এই জিনিসগুলো।
উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনীসহ উদ্ধারকারী দল।
অথচ কী নির্ভার হয়েই না বিমানে ওঠেছিলেন তারা। তারা জানতো না কয়েক মিনিট পরেই কি ঘটতে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে।
জাভা সাগরের নীল জলে ভাসছে বিধ্বস্ত বিমানটির অংশবিশেষ।
প্রায় ১২ ঘণ্টা সাগরের জলে ডুবে থাকা বিমানটির কেউ যে বেঁচে নেই সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
প্রিয়জন হারিয়ে শোকের ভার বহন করতে পারছেন না স্বজনরা।
এ কান্না, এ চোখের জল কি দিয়ে মুছবে।
কোনো মা হয়ত হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ করছেন তার সন্তান যেন বেঁচে থাকে।
এখনও মরদেহ পাওয়া না গেলেও সাজিয়ে রাখা হচ্ছে লাশ তুলবার ব্যাগ।
কারো কারো এভাবেই হয়ত প্রিয়জনের হাত ধরে বহুদূর যাওয়ার কথা ছিল।
এসএ/এমএস