খাশোগি হত্যা : জাস্টিন ট্রুডোকে এরদোয়ানের টেলিফোন
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শুক্রবার টেলিফোনে আলাপকালে তারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির মুখোমুখি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, এরদোয়ান এবং জাস্টিন ট্রুডো সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত এবং শাস্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
দুই দেশের এ দুই নেতা এসময় সন্দেহভাজন সব হত্যাকারীকে অবশ্যই জনসম্মুখে আনার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন : খাশোগি হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত : সৌদি আরব
ট্রুডো বলেন, সৌদি আরবে যে কোনো ধরনের সামরিক অস্ত্র রফতানির অনুমতি তিনি বাতিল করে দেবেন। তবে ২০১৪ সালে সৌদি আরবের সঙ্গে কানাডার সাক্ষরিত ১৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের অস্ত্র রফতানি বাতিল করা হবে কি-না সেব্যাপারে পরিষ্কার কোনো তথ্য দেননি তিনি। স্টিফেন হার্পারের নেতৃত্বাধীন কানাডার সাবেক সরকারের আমলে এই অস্ত্র চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট ও সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিখোঁজ হন। সেখান থেকে আর বেরিয়ে না আসায় সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে যে, কনস্যুলেটে খুন হয়েছেন সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা এই সাংবাদিক।
আরও পড়ুন : দেহ ব্যবসায় বাধ্য হচ্ছেন স্কুল শিক্ষিকা, পুলিশও
সৌদি আরব প্রতিনিয়ত এই অভিযোগ অস্বীকার করে এলেও ১৭ দিন পর গত শনিবার বৈশ্বিক চাপ ও সমালোচনার মুখে সৌদি সরকারের এক বিবৃতিতে খাশোগি কনস্যুলেটে মারামারিতে মারা গেছেন বলে স্বীকার করে। তবে তার এই খুন হওয়া নিয়ে প্রতিনিয়ত সাংঘর্ষিক তথ্য দিয়েছে সৌদি।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ।
এসআইএস/এমএস