বাঁকে বাঁকে যত পথ হেঁটেছেন ইভাংকা
রূপে জৌলুস ছড়ানো ট্রাম্প কন্যা ইভাংকা একাধারে মডেল, ফ্যাশন ডিজাইনার, লেখক, টিভি ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ী। একদিকে প্রেসিডেন্ট কন্যা ও অন্যদিকে ধনকুবেরের মেয়ে হিসেবে তাই তার জীবনধারাও যেন আলাদা। তার জীবন যে অন্য আর দশটা মেয়ের মতো নয়, তা তার চাল-চলনেই বোঝা যায়। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য ট্রাম্প কন্যার অজানা জীবনের চুম্বকাংশে তুলে ধরা হলো-
১৯৯৪ সালে নিউইয়র্কে ইউএস ওপেন চলাকালে তোলা এই ছবিতে ১২ বছরের ইভাংকা আর তার ধনী ব্যবসায়ী বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখা যাচ্ছ। ইভাংকা মেরি ট্রাম্পের জন্ম ১৯৮১ সালে। তার মা ইভানা চেক-আমেরিকান মডেল ইভানা ট্রাম্প। ইভাংকা, ট্রাম্প ও ইভানা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। ইভাঙ্কার যখন ১০ বছর বয়স তখন তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ঘটে।
১৯৯৭ সালে ১৬ বছর বয়সী ইভাংকা প্যারিসে বিখ্যাত ডিজাইনার টিয়েরি মুগলারের একটি ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়েছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ইভাংকা মুগলারের হয়ে মডেলিং শুরু করেন। এছাড়া ভ্যার্সাচে এবং পাকো রাবানের হয়েও মডেলিং করেছিলেন তিনি।
২০০৫ সালে পরিবার ব্যবসায় যুক্ত হন ইভাংকা। দুই ভাই ডোনাল্ড জুনিয়র এবং এরিকের সঙ্গে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। সে সময়ে ইভাংকা ঘোষণা দেন, বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলে এই অর্গানাইজেশন থেকে ছুটি নেবেন তিনি।
ছবিটি ইভাংকার স্বামী জ্যারেড কুশনার এবং তাদের সন্তানদের। ২০১৭ সালে ওয়েস্ট পাম বিচে এয়ারফোর্স ওয়ানে করে পৌঁছায় ইভানকা পরিবার। ইভাংকা কুশনারকে বিয়ে করেন ২০০৯ সালে। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
২০১৭ সালের মার্চে হোয়াইট হাউজের কেবিনেট কক্ষে ছবিটি তোলা। এতে দেখা যাচ্ছে, ইভাংকা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলছেন।
গত সপ্তাহে ঘোষণা করা হয় ইভাংকা তার বাবার উপদেষ্টা হতে যাচ্ছেন। নির্দিষ্ট কোনো পদ না থাকলেও হোয়াইট হাউজে তার একটি অফিস থাকবে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়েন তিনি।
হোয়াইট হাউজে তার অনানুষ্ঠানিক ভূমিকা নিয়ে নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা যখন সমালোচনায় মুখর, তখন ২৯ মার্চ ইভাঙ্কা জানান যে, তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতে চলেছেন।
এসআর/জেআইএম