গাড়ি চাপায় সৌদি ‘কিলিং স্কোয়াড’র এক সদস্যের মৃত্যু
সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিখোঁজের দিনে তুরস্কে উড়ে যাওয়া সৌদি আরবের ১৫ সদস্যের ‘কিলিং স্কোয়াড’র এক সদস্য গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। সৌদি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার এ কর্মকর্তা ও সন্দেহভাজন ঘাতক গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে তুরস্কের দৈনিক ইয়েনি সাফাকের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহে আগে তুরস্কের ইস্তান্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর খাশোগির নিখোঁজের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল সেই তালিকায় ছিলেন সৌদি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের লেফটেন্যান্ট মেশাল সাদ মোহাম্মদ আলবোস্তানিও। তবে সন্দেহজনক গাড়ি দুর্ঘটনায় সৌদিতে এই কর্মকর্তা মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কের সরকারপন্থী এই দৈনিকের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, কনস্যুলেট ভবনটিতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় খাশোগিকে নির্যাতনের একটি অডিও রেকর্ড তারা পেয়েছে। কিন্তু তুরস্ক সরকার এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইউরোপীয় প্রধান মিত্রদের কাছে খাশোগিকে হত্যার কোনো অডিও অথবা ভিডিও প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেনি।
আরও পড়ুন : অন্ধকার জগতের ‘প্রিন্স’ মোহাম্মদ বিন সালমান
ইয়েনি সাফাক বলছে, গাড়ি দুর্ঘটনায় আলবোস্তানির প্রাণহানির ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। গত সপ্তাহে তুরস্কের অপর দৈনিক ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে সৌদি আরবের ১৫ সদস্যের একটি ছবি প্রকাশ করে।
এতে দাবি করা হয়, রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক ও নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার দিনে সৌদি আরব থেকে ১৫ সদস্যের একটি দল তুরস্কে উড়ে আসে। সৌদির রাজধানী রিয়াদ থেকে ব্যক্তিগত বিমানে করে আতাতুর্ক বিমানবন্দরে আসে।
আরও পড়ুন : জীবিত অবস্থায়ই টুকরো টুকরো করা হয় খাশোগিকে
আলবোস্তানিকেও এই ১৫ সদস্যের সঙ্গে বিমানবন্দরে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবিতে দেখা যায়। পরে সেখান থেকে ইস্তান্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে যায় তারা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার তুরস্কে নিযুক্ত সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবনে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েছেন তুর্কি পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। এর আগে সোমবার ইস্তান্বুলে সৌদি কনস্যুলেটেও প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়।
সৌদি এই সাংবাদিক নিখোঁজ এবং হত্যার ঘটনায় সৌদি আরব এবং তুরস্ক পৃথক তদন্ত শুরু করেছে।
এসআইএস/আরআইপি