ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মার্কিন ত্রাণকর্মীকে ধর্ষণ করতো আইএস নেতা

প্রকাশিত: ০৭:৫৭ এএম, ১৫ আগস্ট ২০১৫

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে জিম্মি থাকা অবস্থায় মার্কিন ত্রাণকর্মী কাইলা মুলারকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন এই গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় নিহত হয় ওই ত্রাণকর্মী। মার্কিন কর্মকর্তারা এবিসি নিউজকে শুক্রবার রাতে একথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৬ বছর বয়সী মুলারকে আইএসের শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদি উপর্যুপরি ধর্ষণ করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা নিহত মুলারের পরিবারকে জুনে এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন।

২০১৩ সালে সিরিয়ার আলেপ্পো শহর থেকে মুলারকে অপহরণ করে আইএস। এরপর আইএস জানায়, জর্ডানি বিমান হামলায় মুলার নিহত হয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র মুলারের মৃত্যুর জন্য আইএসকে দায়ী করেছে।

নিহত মুলারের বাবা মা কার্ল এবং মার্শা এবিসি নিউজকে জানান, জুনে সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে জানানো হয় যে বাগদাদির সম্পত্তি হিসেবে কাইলাকে নির্যাতন করা হয়েছে।

আইএসের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা আবু সায়াফের বাড়িতে বাগদাদি নিজে এই মার্কিন ত্রাণকর্মীকে নিয়ে রাখেন। এরপর বাগদাদি নিয়মিত সায়াফের বাড়িতে এসে মুলারকে উপুর্যুপরি ধর্ষণ করতেন বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ। মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে মে মাসে আইএসের তেল ও গ্যাসের দায়িত্বে থাকা আবু সায়াফ নিহত হন।

সায়াফের বাড়িতে চালানো ওই মার্কিন অভিযানে বাড়িটি থেকে দুজন ইয়াজিদি কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ দুই কিশোরীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান। এছাড়া মুলারকে বাগদাদির ধর্ষণের তথ্য প্রকাশ করেন ওই দুই কিশোরী। আবু বকর আল বাগদাদি মুলারকে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করতেন।

আইএস নেতা আবু সায়াফ এবং তার স্ত্রী উম্মে সায়াফ মুলারের তত্ত্বাবধান করতেন। মে মাসে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে উম্মে সায়াফ আটক হয়।  

পেন্টাগনের জিজ্ঞাসাবাদে উম্মে সায়াফ আইএসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্টার টেরোরিজম কর্মকর্তারা এবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত সপ্তাহে উম্মে সায়াফের বিচারের জন্য তাকে কুর্দি কর্তৃপক্ষের কাছে হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের মানবিক ত্রাণকর্মী কাইলা মুলার ২০১২ সালে সিরিয়া-তুর্কি সীমান্তে সিরীয় শরণার্থীদের মাঝে কাজের জন্য আসেন। এরপর আইএসের হাতে অপহৃত হন তিনি।

এসআইএস/এমএস