পাক সেনাপ্রধানকে চুমু খাবেন সিধু
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াকে জড়িয়ে ধরে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোত সিংহ সিধু। তবে সেই সমালোচনাকে মোটেও পাত্তা দেননি এই ক্রিকেটার। আগের সমালোচনার জের কাটতে না কাটতে আবার নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন।
এবার পাক সেনাপ্রধানকে চুমু খাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘ইসলামাবাদের নতুন জমানায় যদি কর্তারপুর করিডর খুলে দেয়া হয়, তাহলে জেনারেল বাজওয়াকে শুধুই জড়িয়ে ধরা নয়, চুমুও খাবেন।’
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, পাকসেনার মদদে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যখন কাশ্মীরে একের পর হামলা চালানো হচ্ছে, নিহত হচ্ছেন জওয়ানেরা। তখন সিধুর এই ভ্রাতৃত্বের আলিঙ্গন ভালো চোখে নেননি ভারতের অনেকেই। মূলত বিজেপি শিবির থেকেই সমালোচনার তির ছুটে গিয়েছিল সিধুর দিকে। তারপরও অবশ্য সিধুকে টলানো যায়নি কোনোভাবেই।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিধুকে। পাহাড়বেষ্টিত কসৌলিতে খুশবন্ত সিংহ সাহিত্য উৎসবে সাংবাদকিদের প্রশ্নের জবাবে সিধু বলেন, ‘আমার কাউকে জড়িয়ে ধরায় কোনো বদ অভিসন্ধি ছিল না। আমার রাফালের মতলব নেই। আমি আপনাকেও জড়িয়ে ধরতে পারি।'
এ সময় পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত খুলে দিলে শুধু ‘ঝাপ্প’ (আলিঙ্গন) নয়, প্রয়োজনে ‘পাপ্পিও’ (চুম্বন) দেব পাক সেনাপ্রধানকে।’
পাক সেনাপ্রদানকে জড়িয়ে ধরা নিয়ে যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে, তার জন্য তার কোনো আফশোস নেই বলেও জানান সিধু। তিনি বলেন, ‘কেনই বা আফশোস করব? আমি নোংরা রাজনীতি বুঝি না। আমার কাছে এটাই (জড়িয়ে ধরা বা হাগিং) ভালবাসা প্রকাশের সবচেয়ে ভালো উপায়।’
তামিলনাড়ুর চেয়ে বরং পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বলে জানিয়েছেন এই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘তামিলনাড়ুতে গেলে আমি ওখানকার ভাষা বুঝতে পারি না। দু’একটার বেশি তামিল শব্দ আমি জানি না। ওখানকার খাবারদাবার আমার একেবারেই পছন্দ নয়, তা বলছি না। খাই মাঝেমধ্যে। কিন্তু একটানা অনেক দিন তা খেতে ভালো লাগে না।’
তিনি বলেন, ‘ওখানকার সংস্কৃতিটা একেবারেই অন্য রকম। কিন্তু পাকিস্তানের পঞ্জাবে গেলে আমার ভাষার কোনো সমস্যাই হয় না।’
এসআর/জেআইএম