শুক্রাণু সঙ্কটে পড়ছে ব্রিটেন!
ব্রিটেনে অনেক দম্পতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান জন্ম দিতে অপরাগ। তাই কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয় তাদের। এজন্য অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় শুক্রাণুর।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ডেনমার্কের একটি বাণিজ্যিক স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে ৩ হাজার শুক্রাণু আমদানি করেছিল ব্রিটেন। এছাড়া একই বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪ হাজার স্যাম্পল আমদানি করেছিল। বিশ্বের বৃহত্তম স্পার্ম ব্যাংকটি ডেনমার্কে, নাম ক্রাইওস।
২০০৫ সালে এক আইনের কারণে বর্তমানে ব্রিটেনে স্পার্ম দিতে কোনো ডোনার আগ্রহী নয়। কেবল শুক্রাণু নয়, ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে ডিম্বাণু এবং ভ্রুণও আমদানি করে দেশটি। গত বছর অন্তত ৫০০ ডিম্বাণু এবং ভ্রুণ আমদানি করেছে তারা।
ব্রিটিশ সরকার বলছে, ব্রেক্সিট আলোচনা সফল না হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ‘ইইউ অর্গান ডাইরেক্টিভস অ্যান্ড ইউ টিস্যুস অ্যান্ড সেলস ডাইরেক্টিভস’ আইন কাজ করবে না। ফার্টিলিটি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে ব্রিটেনকে।
হার্লে স্ট্রিট ফার্টিলিটি ক্লিনিকের পরিচালক গীতা ভেঙ্কট বিবিসি রেডিওকে জানিয়েছেন, অনেক দম্পতি আতঙ্কে ভুগছেন। আইনে কোনো ধরনের পরিবর্তন হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করতে হবে এবং সেজন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগে বলে জানিয়েছেন তিনি। অথচ ডেনমার্ক থেকে আমদানি করতে মাত্র এক সপ্তাহ সময় লাগে।
আগামী ১৮ অক্টোবরের বৈঠককেই ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোর শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ব্রেক্সিট চুক্তি হয়ে গেলে আগামী বছর ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি হলে তা বাস্তবায়নের আগে ইইউ পার্লামেন্টের পাশাপাশি সব সদস্য দেশের পার্লামেন্ট ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তার অনুসমর্থন হতে হবে।
ব্রেক্সিট নিয়ে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অংশ হয়ে থাকা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সীমান্ত কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে। ডিডব্লিউ।
এসআইএস/জেআইএম