বিয়ের সাজে রাজকুমারীর পিঠখোলা, কারণ কী
বিয়ের পোশাক সব কনের জন্যই স্পেশাল। বিয়ের দিন কেমন পোশাক পরবেন, সাদা না পিংক? লম্বা নাকি ছোট? সেটা শাড়ি নাকি অন্য কিছু? সে পোশাকে তাকে কেমন লাগবে-এই চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় বললে বোধহয় ভুল হবে না। আর ওই কনে যদি হন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের মেয়ে, তাহলে তো কথায় নেই।
সম্প্রতি মনের মানুষটির সঙ্গে গাটঁছড়া বেঁধেছেন প্রিন্সেস ইউগিনি। মহা ধুমধামে হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান। স্বাভাবিকভাবেই তার ডিজাইন করা ওয়েডিং গাউন নজর কেড়েছে সবার। সেই পোশাকে ছিল বিশেষত্ব।
লম্বা ক্রিম সাদা পোশাকের পিঠটা খোলা। ভি-শেপে কাটা পোশাকের পেছন দিকটা। আর পিঠের মাঝ বরাবর একটা কাটা দাগ। সাধারণত বিয়ের কনেরা এই ধরনের দাগ লুকনোরই চেষ্টা করেন। তবে কেন, এমন পোশাক পরার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজকুমারী?
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ছোটবেলায় এক বিশেষ রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। স্কোলিওসিসে আক্রান্ত ইউগিনির অপারেশন হয়েছিল ১২ বছর বয়সে। এই দাগটা সেই অপারেশনেরই। তারপর ১৬ বছর কেটে গিয়েছে। এত বছর পর নিজের বিয়েতে সেই দাগ দেখিয়ে স্কোলিওসিস আক্রান্ত মানুষদের সম্মান জানাতে চেয়েছেন কুইন এলিজাবেথের নাতনি এই রাজকুমারী। পাশাপাশি, তিনি চেয়েছেন যাতে এই রোগে আক্রান্ত মানুষগুলো সেরে ওঠার কিছুটা অনুপ্রেরণা পান।
ছেলেবেলায় তিনি যে স্কোলিওসিসে আক্রান্ত ছিলেন, চলতি বছরের শুরুতেই সেটা প্রকাশ্যে আনেন। এক্স-রে রিপোর্টও প্রকাশ করেছেন এই রাজকুমারী।
স্কোলিওসিস কী
এই রোগে শরীর একদিকে বেঁকে যায়। মেরুদণ্ড বেঁকে প্রায় গোলাকার হয়ে যায়। ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সেই এই রোগের সূত্রপাত হয় সাধারণত। অনেক ক্ষেত্রে মায়ের গর্ভে থাকাকালীনই হাড়ের গঠন ঠিকমতো হয় না। ফলে এই রোগ হয়। প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে ৩-৪ জন শিশুর ক্ষেত্রে এই রোগ চরম আকার ধারণ করে।
রাজকুমারী ইউগিনির ক্ষেত্রে পিঠে কারেকশনাল সার্জারি করার প্রয়োজন হয়। ১২ বছরের এক নাবালিকা হিসেবে কতটা আতঙ্কিত ছিলেন তিনি, সেটাও বর্ণনা করেছেন ইউগিনি।
এসআর/এমএস