গর্ভবতী কি-না, পরীক্ষা দিতে হয় যে স্কুলের ছাত্রীদের
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার আরশা শহরে ঘটছে আদিম এক ঘটনা। শহরটির আরুশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রতি দুই বছর অন্তর একবার করে নারী শিক্ষর্থীদের গর্ভধারণের পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক অংশ নিতে হয় স্কুলের মোট ৮০০ ছাত্রীকে। পরীক্ষায় গর্ভধারণের প্রমাণ পাওয়া গেলে বহিস্কার করা হয় স্কুল থেকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদক বিদ্যালয়টিতে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেন, ওই ৮০০ ছাত্রীকে পর্যায়ক্রমে একটি টয়লেটের ভেতরে যেতে বলা হয়। এসময় তাদের হাতে দেয়া হয় একটি পাত্র এবং ভেতরে গিয়ে ওই পাত্রে প্রসাব করতে বলা হয়। পরে ওই প্রসাব পরীক্ষা করে যদি গর্ভধারণের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়।
গত তিন বছর ধরে বিদ্যালয়টিতে অষ্টম থেকে ওপরের শ্রেণির ছাত্রীদের বাধ্যতামূলক এ পরীক্ষা দিতে হয়। এছাড়া আশুরা এবং কিলিমাঞ্জারোর আরো দুটি স্কুলেও একই পরীক্ষার সম্মূখীন হতে হয় নারী শিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুন : মৃত্যুদণ্ড বাতিল করছে মালয়েশিয়া
এলিফুরাহা নামে আরুশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে গর্ভধারণের জন্য স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়। তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষকদের সামনে এ পরীক্ষা দেয়ার সময় তিনি খুব লজ্জা বোধ করেন।
১৯ বছর বয়সী ওই নারী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সব ছাত্রীকে একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে নারী শিক্ষকের সহায়তায় তল্লাশি করা হয়। ওই শিক্ষকরা আমাদের পেট এবং শরীরের অন্যান্য অংশ পরীক্ষা করেন।
তানজানিয়ায় ২০০২ সালের একটি শিক্ষা আইনের আওতায় ছাত্রীদের বহিস্কারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট জন পম্বে মাগুফুলি ক্ষমতায় আসার পর এ আইনটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সূত্র : সিএনএন।
এসএ/এসআইএস/জেআইএম