যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়ে শান্তির নোবেল পেলেন দুই কর্মী
যৌন সহিংসতা ও হয়রানির ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরির আন্দোলন করে চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন কঙ্গোর ধাত্রীবিদ্যাবিশারদ ডেনিস মুকওয়েজি এবং জঙ্গিদের হাতে ধর্ষণের শিকার ইয়াজিদি নারী নাদিয়া মুরাদ।
শুক্রবার সুইডেনের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে এই দুই কর্মীর নাম ঘোষণা করেছে।
নোবেল কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধের সময় অস্ত্র হিসেবে যৌন সহিংসতার ব্যবহারের অবসানের লক্ষ্যে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শান্তির নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ডেনিস মুকওয়েজি ও ইয়াজিদি নারী নাদিয়া মুরাদ।
পাকিস্তানের নারী শিক্ষা কর্মী মালালা ইউসুফ জাইয়ের পর কম বয়সী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন নাদিয়া মুরাদ। ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন মালালা। আর এবছরের শান্তিতে নোবেলজয়ী নাদিয়া মুরাদের বয়স মাত্র ২৫ বছর।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েজি যৌন সহিংতার শিকার নারী ও তরুণীদের সেবায় তার জীবনের অধিকাংশ সময় পাড় করেছেন। অতীতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য বেশ কয়েকবার মনোনয়ন পেয়েছিলেন মুকওয়েজি।
যৌন নিপীড়নের শিকার হাজার হাজার নারী ও তরুণীকে সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের স্বীকৃতি পেলেন তিনি শান্তিতে নোবেল জয়ের মাধ্যমে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা। একই সঙ্গে একটি করে সোনার মেডেল পাবেন এ দুই নোবেল জয়ী।১৯০১ সাল থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিয়ে আসছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ৯৯ বার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, সুইডিশ একাডেমিতে যৌন কেলেঙ্কারির জেরে গত ৭০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার স্থগিত রাখা হয়েছে।
এসআইএস/এমএস