আস্থাহীন ট্রাম্প, বিশ্বাসে এগিয়ে পুতিন জিনপিং
মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষপদে ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার পর থেকেই প্রেসিডেন্টের চেয়ারকে ঘিরে তৈরি হয়েছে একের পর এক বিতর্ক। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের বিপদে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামার চেয়ারে বসে বারবারই ট্রাম্পের প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তার চেয়ে অনেক গুণ এগিয়ে রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
শুধুমাত্র দেশকে নেতৃত্ব দানেই তারা এগিয়ে নেই, বরং বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ট্রাম্পের তুলনায় বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন পুতিন ও জিনপিংকে। সম্প্রতি এ তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক প্রতিবেদনে।
২৫ দেশের নাগরিকদের মধ্যে একটি সমীক্ষা করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। যেখানে ওই দেশের নাগরিকরা স্বীকার করেছেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের তুলনায় নেতৃত্বদানের ক্ষমতায় অনেক এগিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ও চীনের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন : আবু ধাবির লটারিতে ১৬ কোটি টাকা জিতলেন প্রবাসী
ট্রাম্পের চেয়ে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য পুতিন ও জিনপিং। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এ ফলাফল নতুন কিছু নয়, এটা হওয়ারই ছিল।’ এর কারণ হিসাবে তাদের ব্যাখ্যা, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাম্পকেই দায়ী করা হয়।
এছাড়া ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্তও ছিল ট্রাম্পের। পশ্চিমা সামিরক জোট ন্যাটোর সঙ্গী এবং জি৭ শীর্ষ বৈঠকে জার্মানি ও কানাডার সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় তার আমলেই। এখানেই শেষ নয়, একটি প্লে-বয় ম্যাগাজিনের মডেলের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম।
গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে নিজেই নিজের ঢাক পেটান ট্রাম্প। দেখাতে চান তার আমলেই সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তার শাসনকালেই যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে বলে দাবি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই বক্তব্য ঘিরে হাসির রোল পড়ে যায় জাতিসংঘের ওই অধিবেশনে।
এসআইএস/জেআইএম