ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পারমাণবিক বোমা মেরে চাঁদ ‘উড়িয়ে’ দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০১৮

পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। পৃথিবীর সঙ্গে রয়েছে এর গভীর সম্পর্ক। চাঁদকে ঘিরে রহস্যের যেন শেষ নেই। চাঁদ মামাকে নিয়ে থেমে নেই বিজ্ঞানীদের গবেষণা। বিভিন্ন সময় চাঁদ সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য দিয়েছেন অনেকেই। এবার চাঁদ সম্পর্কে জানা গেলো এমনি এক বিস্ময়কর তথ্য।

১৯৫৮ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বোমা মেরে ‘উড়িয়ে’ দিতে চেয়েছিল চাঁদকে। উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে দেশটির সামরিক শক্তি প্রদর্শন করা। বিশেষ করে রাশিয়াকে ভয় দেখানো। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অত্যন্ত গোপনীয় এই পরিকল্পনার নাম ছিল ‘এ স্টাডি অফ লুনার রিসার্চ ফ্লাইটস’ অথবা ‘প্রজেক্ট এ১১৯’।

এই প্রজেক্টের মূল ব্যক্তি ছিলেন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ড. লিওনার্ড রাইফেল। ৭৩ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি মার্কিন পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে বিষয়টি খোলাসা করেন।

তিনি বলেন, চাঁদকে আসলে উড়িয়ে দেয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ছিল সেখানে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশ্বের কাছে ক্ষমতা প্রদর্শন করা। বিশেষ করে তত্কালীন রাশিয়াকে ঘাবড়ে দেয়া।

লিওনার্ড রাইফেল আরও বলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মনে হচ্ছিল, রাশিয়ার কাছে মহাকাশ জয়ের দৌড়ে তারা পিছিয়ে পড়ছে। তাই চাঁদের বুকে বোমা ফাটিয়ে এমন ‘মাশরুম ক্লাউড’ তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল যেটা পৃথিবী থেকে দেখা যাবে। বিশ্ববাসী যখন পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে এই বিস্ফোরণ দেখত তখন সবার মনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতার ব্যাপারে সমীহ তৈরি হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল সেই সাইজের বোমা দিয়েই কাজটা সফলভাবে করা যেত বলে সাক্ষাত্কারে রাইফেল উল্লেখ করেন ড. রাইফেল।

তিনি বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে বলেছিলাম যে, এটা বিশাল ব্যয়বহুল হবে এবং চাঁদের মাটিতে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাবে। সরাসরি চাঁদে গিয়ে গবেষণা করা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু তারা সেটি শুনতে চায়নি।’

কীভাবে চাঁদে পারমাণবিক বোমা পাঠিয়ে সেটি বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব হতো সেই কৌশল ফাঁস করতে রাজি হননি তিনি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁদের যে বিন্দুতে আঘাত করার টার্গেট করেছিলাম সেখান থেকে বড়জোর দুই এক মাইল এদিক-সেদিক হতো।’

সূত্র : বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান

এমবিআর/জেআইএম

আরও পড়ুন