ঋণের দায়ে ছেলের গলা কাটলেন বাবা
গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী সুব্রত দাস। প্রতিনিয়ত স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকতো। আর এই দাম্পত্য কলহের জেরে বাড়ি ছেড়ে চলে যান স্ত্রী। বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাদের। তবে এগারো বছরের একমাত্র সন্তানকে রেখে যান তার মা। এরপর সন্তানকে নিয়েই বসবাস করতে শুরু করেন সুব্রত। তবে কাজের জন্য ছেলের দেখাশোনা করতে পারতেন না নিয়মিত। তাইতো স্কুল থেকে ফেরার পর প্রতিবেশীদের কাছেই থাকত সে।
শনিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে অবাক হয়ে যান প্রতিবেশীরা। অনেক ডাকাডাকি করলেও সুব্রত ও তার ছেলের কোনও সাড়া পায় না তারা। বাধ্য হয়ে বাড়ির জানালা ভেঙে ঘরের ভেতরে গিয়ে অবাক হয়ে যান। মেঝেতে পড়ে আছে ছেলের গলাকাটা লাশ। আর ঘরের ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এরপর প্রতিবেশীরা দ্রুত স্থানীয় থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে বাবা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।
এ নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার গড়িয়া বাজারে। গড়িয়ার নবশ্রী বাজারের শিবমন্দির এলাকার বাসিন্দা সুব্রত দাস। ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া তার ছেলের নাম গোপাল দাস। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঋণের দায়ে ছেলেকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন ওই বাবা।
প্রতিবেশীদের বলছেন, স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে সুব্রত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ঋণও হয়ে গিয়েছিল অনেক। তাই ছেলেকে খুন করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুব্রত। ছেলের গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ছেলের গলা কেটে তাকে হত্যা করেছেন সুব্রত। এরপর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেশীরা বাবা ও ছেলের এই করুণ পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই।
এসএ/জেআইএম