কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন সু চি
একের পর এক সম্মাননা হারাচ্ছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। এর আগেও তাকে দেয়া বহু পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এবার তাকে দেয়া কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিল করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়টি কানাডার পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর বর্বর অভিযানে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার আইনপ্রণেতারা। এছাড়া মিয়ানমারে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের যে তথ্য উঠে এসেছে বৃহস্পতিবার তা অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির হাউস অব কমন্সের সদস্যরা।
রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় সু চি চুপ ছিলেন। তিনি এ বিষয়ে কোন কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি বরাবরই সেনাবাহিনীর পক্ষেই কথা বলেছেন। তাই সু চিকে দেয়া কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের আলোচনায় নিজের সম্মতির কথা জানিয়েছেন ট্রুডো। ১৯৭৭ সালে কানাডার পার্লামেন্ট অং সান সু চিকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছিল।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, পার্লামেন্ট তাকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দিয়েছিল। তাই এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই আলোচনা করতে পারি। কিন্তু একটা জিনিস আমি পরিস্কার করে বলছি যে, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির কানাডার নাগরিকত্ব আছে কি নেই, সেটি সম্মানসূচক নাকি সম্মানসূচক নয়, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এটা কোনো পার্থক্য করে না।
টিটিএন/জেআইএম