মালদ্বীপের বিতর্কিত নির্বাচনে বিরোধী নেতার জয়
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা মোহাম্মদ সলিহ। সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন অপ্রত্যাশিতভাবে বিরোধী নেতা মোহাম্মদ সলিহ’র কাছে হেরে গেছেন। ইয়ামিনকে জয়ী করতে নির্বাচন কমিশনসহ ক্ষমতাসীন দল নানাভাবে চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেছিল নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদল এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় বিরোধী দলীয় নেতা সলিহ ৫৮.৩ শতাংশ এবং ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন পেয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনে জয়ী মোহাম্মদ সলিহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে খুব সহজেই এ নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। এটা আমাদের একটা সুখের, আশান্বিত হওয়ার এবং ইতিহাস গড়ার মুহূর্ত। এবার মালদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা। আমি শুধু আমার দলের প্রেসিডেন্ট নই। আমি মালদ্বীপের সব মানুষের প্রেসিডেন্ট।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে ডেকে বলবো যে দেশের জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করুন এবং যত দ্রুত সম্ভব একটা নিরবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করার অনুরোধ করবো তাকে।’
তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেন নি। দেশটির নির্বাচন কমিশন বলছে, কোনো রকম বিপত্তি ছাড়াই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং মালদ্বীপের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
উল্লেখ্য, রোববার মালদ্বীপে ব্যাপক সমালোচনার মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে জয়ী করতে কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছিলো বিরোধী দলগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র বলেছিলো যদি নির্বাচনের মাধ্যমে মালদ্বীপের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তারা। এছাড়াও গণমাধ্যমের মুখ চেপে ধরায় সরকারের সমালোচনা করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
এসএ/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বৃষ্টির বাগড়া, কমতে পারে ভোটার উপস্থিতি
- ২ হাসিনার আমলে গুম ২০০ লোকের খোঁজ মেলেনি: তদন্ত কমিশন
- ৩ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?
- ৪ যেসব অঙ্গরাজ্যে নির্ধারিত হবে ট্রাম্প-হ্যারিসের ভাগ্য
- ৫ যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার শঙ্কায় বিভিন্ন রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা